অসহায় ছাত্রীর সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের এ কেমন আচরণ
দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩১ এএম
বেতন ও পরীক্ষার ফিস দিতে না পারায় অসহায় একজন ছাত্রীকে মূল্যায়ন পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দৌলতপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউলের বিরুদ্ধে।
বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সোহানা চকমিরপুর গ্রামের সফিজের মেয়ে।
ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী সোহানার সঙ্গে হয় কথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসের সামনে। চাচা চাঁন মিয়ার সঙ্গে ইউএনও অফিসে এসেছিল সে। তখন বাজে দুপুর ১২টা; ৫ ঘণ্টার পরীক্ষার ২ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে। চোখের পানি মুছতে মুছতে সে বলে, আমাকে হেড স্যার টাকার জন্য পরীক্ষা দিতে দেননি। উনি আমাকে বলেছেন, তোর পরীক্ষা দিতে হবে না। তুই বাড়ি যা।
সোহানার চাচা গ্রামপুলিশ চাঁন মিয়া বলেন, সোহানারা খুব গরীব। কোনো বেলা খেতেই পায় না। অথচ প্রধান শিক্ষক তার বেতন ও ফিস কিছু মওকুফ করেন না। টাকার জন্য ওকে ক্লাশেও অপমান করা হয়।
সোহানার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, সোহানা আক্তারের বাবা সফিজ গত কয়েক মাস ধরে অসুস্থ। তিনি সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম। সংসার চালানো ও চিকিৎসা খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে তার বাবা। সেখানে পড়ালেখার খরচ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে সোহানার পরিবারের পক্ষে।
জানা গেছে, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহানা আক্তার ক্লাশ মূল্যায়ন পরীক্ষা দিতে আসলে প্রধান শিক্ষক বেতন ও পরীক্ষার ফিস পরিশোধ করে অংশ গ্রহণ করতে বলেন। মেয়েটি টাকা দিতে না পারায় পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেন। পরে সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে চলে যায়। পরে চাঁন মিয়া তাকে ইউএনওর কাছে নিয়ে যান। বিস্তারিত কথা শুনেন ও ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর মেয়েটাকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন ইউএনও নাহিয়ান নুরেন।
প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, মেয়েটি আগের পরীক্ষা না দেওয়ায় তাকে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিয়ান নুরেন বলেন, হেডমাস্টারকে বলে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমি শুনেছি মেয়েটির বাবা খুবই অসহায় দরিদ্র। আমি যতটুকু পারি তাকে সহযোগিতা করব।