কোটা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামে রেলপথ ও সড়কপথে শিক্ষার্থীদের অবরোধ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
কোটা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামে রেলপথ ও সড়কপথে শিক্ষার্থীদের অবরোধ। ছবি: যুগান্তর
হাইকোর্টের রায় বাতিল ও কোটা সংস্কারের দাবিতে চট্টগ্রামেও সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় রেললাইন অবরোধ করেন তারা। পরে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে নগরীর টাইগারপাস ও দেওয়ানহাট ব্রিজ সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া রেলপথ অবরোধ করার কারণে সকাল ১০টার পর চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। চট্টগ্রামগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে।
এদিকে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারির আদেশ এলেও সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রামে রেলপথ ও সড়কে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এতে সড়ক রেলপথে চলাচলরত যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েতে হয়।
পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টার পর থেকে চট্টগ্রাম স্টেশনে কোনো ট্রেন পৌঁছতে পারেনি। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়েও যেতে পারেনি। রেললাইন অবরোধের কারণে বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে। এ কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যারা টিকিটের টাকা ফেরত চাইছেন, তাদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা লাইন থেকে সরলেই পর্যায়ক্রমে ট্রেনগুলো ছাড়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
এদিকে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মিছিল নিয়ে টাইগারপাস এলাকায় সড়কে গিয়ে অবস্থান নেন। এতে নগরীর দেওয়ানহাট, লালখান বাজারসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরুদ্ধ হয়ে যায়। টাইগারপাস সড়ক অবরোধের কারণে নগরীর লালখানবাজার, দেওয়ানহাট, আমতল ও নিউমার্কেট সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। কোনো উপায় না পেয়ে অনেক চালককে গাড়ি ঘুরিয়ে ভিন্ন পথ অবলম্বন করতে দেখা গেছে। এছাড়া অনেক যাত্রীকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা গেছে।
এ সময় পুলিশের গাড়িকেও আটকাতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। পরে শিক্ষার্থীদের দেওয়ানহাট ব্রিজের উপর অবস্থান নিতে দেখা যায়।
সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মো. রাসেল আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, রেল ও সড়কের তিনটি স্থানে আমাদের কর্মসূচি চলমান রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। রাত ১০টায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।