টাঙ্গাইলে সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
যুগান্তর প্রতিবেদন, টাঙ্গাইল
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৩ পিএম
টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় চারাবাড়ি সেতু সংযোগ সড়ক ভেঙে পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। বুধবার ভোরে উপজেলার চারাবাড়ি তোরাপগঞ্জ ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, অবৈধভাবে ড্রেজিংয়ের কারণে বারবার সংযোগ সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদনগর ও নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর চারাবাড়িঘাটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০০৬ সালে ১৭০ দশমিক ৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করে।
সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই অবৈধভাবে ড্রেজিং করার কারণে বর্ষায় দফায় দফায় পূর্ব ও পশ্চিম তীরের অ্যাপ্রোচ ধসে যায়। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এলজিইডি স্থানীয়দের সহায়তায় বালুর বস্তা ও লোহার পাত দিয়ে সাময়িক সংস্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করেন।
এ সড়কের সিএনজিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, শুকনো মৌসুম ও বর্ষা মৌসুমে এ ব্রিজের উভয়পার থেকে অবৈধ ড্রেজিং করায় বারবার সেতুটি ধসে গিয়ে মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
অটোরিকশাচালক হাসমত করিম বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই একটু একটু করে ধস নামছিল। আজকে ভোরে যাত্রী নিয়ে এসে দেখলাম ভেঙে গেছে। পরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভাঙনের দৃশ্য দেখতেছি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা যানবাহন চালাতে পারব না।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. ফজলুর রহমান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিদর্শনে গিয়েছি। দ্রুতই সড়কটি সংস্কার করা হবে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা আছে।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টি ও প্রবল স্রোতের কারণে ব্রিজের পাড় ধসে পড়েছে। যেহেতু এটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তাই দ্রুত ধস বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে প্রকৌশলী পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও সড়কটি যেহেতু এলজিইডির। তাই এলজিইডির প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে। দ্রুত দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।