বৈষম্যমূলক সর্বপ্রকার কোটা প্রত্যাহারের এক দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ট্রেন থামিয়ে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ পালন করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দেন তারা। 

আন্দোলন চলাকালীন হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগে স্থগিত হলে রেললাইনের ওপরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে ইরান মিয়া জানান, সংসদে আইন পাশ করে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রেখে সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। এই দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কার্যক্রম চলবে। রায় স্থগিত করে শিক্ষার্থীদের ধোঁকা দেওয়া চলবে না। ছাত্রসমাজ কোনো ধোঁয়াশার মধ্যে থাকবে না। সুস্পষ্ট রায় চায় শিক্ষার্থীরা।’

কোটা-সংশ্লিষ্ট আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বুধবার সকাল ১০টায় বাকৃবির মুক্তমঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি আব্দুল জব্বার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দেন তারা। ট্রেন আটকে রেখে আব্দুল জব্বার মোড় সংলগ্ন রেললাইনে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের ছাড়া আর কোনো কোটা রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই। সব সরকারি চাকরিতে মেধাবীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই দেশ চালনার কান্ডারিদেরকে মেধার যাচাইয়ের মাধ্যমে বাছাই করা হোক।

দিনব্যাপী ট্রেন অবরোধ করে রাখায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে যাত্রীদের কথা ভেবে জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কাজের প্রেক্ষিতে যাত্রীদের ময়মনসিংহ শহরে পৌঁছে দেওয়ার কাজেও সহযোগিতা করছেন তারা।