মাদ্রাসার ছাত্রীকে ঘুম থেকে তুলে পাশের ঘরে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা
মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম
ফরিদপুরের মধুখালীতে উপজেলার একটি মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রীকে ঘুম থেকে তুলে টেনেহিঁচড়ে পাশের রান্না ঘরে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার পিতা সাহেদ আলী মৃধার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে সাহেদ আলী মৃধাকে একমাত্র আসামি করে রোববার মধুখালী থানায় একটি মামলা করেছেন।
জানা গেছে, ২৭ জুন রাত অনুমান ১টার দিকে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও কর্মরত শিক্ষক মো. ইমদাদের পিতা সাহেদ আলী মৃধা (৭০) ছাত্রীদের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করেন। ভিকটিমকে ঘুম থেকে তুলে টেনে-হিঁচড়ে পাশের রান্না ঘরে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন।
এদিকে এ অপরাধকে ধামাচাপা দিতে প্রথম থেকেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান টিপুর নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী মহল সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল ৭টায় স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আজমীর মৃধাকে সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক মীমাংসার নামে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার পরিণতি খুব খারাপ হবে মর্মে তিনি সাবধান করেন।
ভিকটিমের ফুফু এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালী মহলের কারণে আমরা অভিযোগ দায়ের করতে পারছি না। ভীতসন্ত্রস্ত পরিবারটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় সুবিচার প্রার্থনা করেন।
ঘটনার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান টিপুর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনে বারবার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে দুটি মোবাইল ফোনই বন্ধ করে রাখেন।
পিতার ধর্ষণচেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান মো. ইমদাদ বলেন, বিষয়টি তাদের সঙ্গে মীমাংসা করা হয়েছে। আমাদের আর কিছুই বলার নাই।
মামলার বিষয়ে জানতে মধুখালী থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলা হয়েছে। জানাজানি হওয়ায় আসামি গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।