Logo
Logo
×

সারাদেশ

লোহাগাড়ায় ভূমি কর্মকর্তার চাঁদাবাজির কল রেকর্ড ফাঁস

Icon

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৫ এএম

লোহাগাড়ায় ভূমি কর্মকর্তার চাঁদাবাজির কল রেকর্ড ফাঁস

লোহাগাড়ায় মোবাইল ফোনে ভূমি অফিসের কর্মকর্তার চাঁদাবাজির কল রেকর্ড নিয়ে চলছে তোলপাড়। কল রেকর্ডটি উপজেলার চুনতি ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) মোহাম্মদ ইদ্রিস ও বালু ব্যবসায়ী রিদোয়ানের বলে জানা গেছে। কল রেকর্ডে বালু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করার হুমকি দিতেও শোনা যায়। 

কল রেকর্ডে বলতে শোনা যায় :  তহশিলদার ইদ্রিস : বালু বিক্রি করতে খুব মজা লাগে নাহ? 
বালু ব্যবসায়ী রিদোয়ান : আমি কী করতাম? 
তহশিলদার : আমি তোকে কয় লাখ টাকা জরিমানা করি দেখ। 
বালু ব্যবসায়ী : আমাকে কেন ওই রকম করেন? 
তহশিলদার : তুই বালু বিক্রি করতস তা করতেছি। 
বালু ব্যবসায়ী : আমি বালু বিক্রি করছি না। 
তহশিলদার: বালু বিক্রি না করলে ওখানে গাড়ি কীভাবে ঢুকছে? তোকে কয় লাখ টাকা জরিমানা করি দেখ। 
বালু ব্যবসায়ী : এখন কী করতাম? 
তহশিলদার : বিপদ থেকে বাঁচতে হলে গতকাল যা বলছি তা কর। 
বালু ব্যবসায়ী : কত টাকা দিতাম, বলেন না। 
তহশিলদার : ১০টা পাঠিয়ে দে। 
বালু ব্যবসায়ী : ১০ হাজার টাকা, আচ্ছা পাঠিয়ে দিচ্ছি। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, চুনতি ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। টাকা ছাড়া কোনো কাজই হয় না। টাকা না দিলে ফাইলের ওপর ময়লার স্তূপ জমে যায়। দালাল না ধরলে বা টাকা না দিলে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর গড়াতে থাকে। কিন্তু এর শেষ হয় না। ফলে ঠিক সময়ে নামজারি না হওয়ায় এখানকার মানুষ যেমন একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অপর দিকে নামজারির কারণে জায়গা-জমি ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকায় সরকারও হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। 

হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জায়গা-জমির নামজারির ক্ষেত্রে মালিকের অপারগতা অথবা অনুপস্থিতিতে নির্ধারিত ফরমে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিনিধি কার্যক্রম চালানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি বারবার ভূমি কর্মকর্তার নজরে দিলেও কোনো ধরনের আইনকে পাত্তা না দিয়ে মালিক ছাড়া কারো মাধ্যমে কার্য পরিচালনাকে গ্রাহ্য না করে ফাইল আটকে মোটা অঙ্কের মাসহারা দাবি করছেন। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। ফলে লোহাগাড়ায় নামজারিসহ জায়গাজমি ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। 

শুধু তাই নয়, খাজনা আদায়েও অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইনামুল হাসান বলেন, ‘কল রেকর্ডটি পেয়েছি। এটি দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম