বন্ধুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার ৫
দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:০১ পিএম
ফেনীর দাগনভূঞায় বন্ধুকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে দাগনভূঞা পৌরসভার সাতবাড়িয়া জামে মসজিদ এলাকার লাতু মিয়ার কলোনি থেকে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার অপহরণের ঘটনা ঘটে।
অপহৃত যুবক মো. রায়হান রানা লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরকলাকোপা গ্রামের মো. বেলালের ছেলে। গ্রেফতাররা হলেন- জাহিদুল ইসলাম পিন্টু, ফখরুল ইসলাম, আল জাবের, আজমীর হোসেন হৃদয় ও টিটু দাশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটি কাটিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রামগতি থেকে চট্টগ্রামের কর্মস্থলে যোগ দিতে গাড়িতে ওঠেন রায়হান। পথে মোবাইল ফোনে ফেনীর দাগনভূঞার বাসিন্দা বন্ধু বুদ্দির সঙ্গে চট্টগ্রামে যাওয়ার ব্যাপারে কথা বলেন। বুদ্দি তাকে দাগনভূঞা নেমে ভাত খাওয়ার দাওয়াত দেন। কথামতো দুপুর ১টায় রায়হান দাগনভূঞা বড় মসজিদের সামনে বাস থেকে নেমে বুদ্দির সঙ্গে দেখা করেন। পরে বুদ্দি তাকে ভাত খাওয়ানোর জন্য সাতবাড়িয়া মসজিদের বিপরীতে নিজের ভাড়া বাসায় নিয়ে একটি কক্ষে আটকে ফেলেন। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত বুদ্দির অন্য সহযোগীরা রায়হানকে মারধর করেন। ফখরুল (গ্রেফতার) রায়হানের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে তার নিকটাত্মীয় বিবি শাহনাজের নম্বর নিয়ে নিজের মোবাইল থেকে ফোন দেন। পরে শাহনাজ রানার বাবা বেলাল হোসেনকে বিষয়টি জানালে বেলাল হোসেন দাগনভূঞা থানাকে অবহিত করেন এবং ছেলে রানাকে উদ্ধার করার জন্য মামলা করেন।
পুলিশ মামলার আলোকে তাৎক্ষণিক প্রযুক্তির সাহায্যে ভিকটিম রানা ও অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত করে পৌরসভার সাতবাড়িয়া জামে মসজিদের লাতু মিয়ার কলোনিতে বুদ্দির ভাড়া বাসায় সাড়াঁশি অভিযান চালিয়ে ভিকটিম রায়হানকে বুধবার বিকালে উদ্ধার করে।
দাগনভূঞা থানার ওসি মো. আবুল হাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।