পরীক্ষাকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে ৭ শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার

যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:০৪ এএম

বরগুনা দারুল উলুম নেছারিয়া (কামিল) মাদ্রাসায় এইচএসসি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে চারটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ সাত শিক্ষককে হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে তাদের বহিষ্কার করেন হল সুপার বরগুনা দারুল উলুম সিনিয়র নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মামুন অর রশীদ। বহিষ্কৃত শিক্ষকরা ভবিষ্যতে কোনো পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
বহিষ্কৃতরা হলেন— বদরখালী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আশরাফ আলী, কেওড়াবুনিয়া ইসহাকিয়া আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম, পূর্ব গুদিঘাটা কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যক্ষ সগির হোসাইন ও বেলাল হোসাইন। এ ৩টি মাদ্রাসার প্রভাষক বেলাল হোসেন, মোহাম্মদ ইসমাইল ও মিজানুর রহমান। তবে অনৈতিক সুবিধা নেওয়া ৮০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা বলেন, বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় সদরের আলিয়া মাদ্রাসার ৬, ৭ ও ৯ নম্বর হলে ৮০ জন পরীক্ষার্থীকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্য নৈর্ব্যত্তিকের কোড পরিবর্তন করে প্রশ্নপত্র দেয় ওই ৭ শিক্ষক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে ৭ শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকরা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে বহিষ্কার করা হয়েছে তা সঠিক নয়।