Logo
Logo
×

সারাদেশ

‘ভুল চিকিৎসায়’ প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

Icon

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম

‘ভুল চিকিৎসায়’ প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

ফাইল ছবি

বরিশালের গৌরনদীতে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় ‘ভুল চিকিৎসায়’ প্রসূতি নাজমুন নাহার (২৫) এবং নবজাতকের (কন্যা সন্তান) মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে ডা. মুসলিমা জাহান ঐসির বিরুদ্ধে। 

বুধবার দুপুরে উপজেলার শরিকল বন্দর হেলথ কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। 

মৃত নাজমুন নাহার বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের উত্তর চরভুতেরদিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের ব্রানদিয়া গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের মেয়ে।  

মৃতের ননদ আসমা বেগম মোবাইল ফোনে জানান, শরিকল হেলথ কেয়ার ক্লিনিকের এমবিবিএস ডা. মুসলিমা জাহান ঐসি বুধবার দুপুরে তার প্রসূতি ভাবির (নাজমুন নাহার) সিজার করেন। সিজারের সময় নবজাতকের মৃত্যুর খবর জানায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তাদের পরিবারের সদস্যরাও মেনে নেয়। সিজারের পর ওই চিকিৎসক একবার বলেছে তিন ব্যাগ ব্লাড লাগবে। এর কিছুক্ষণ পর বলেছে পাঁচ ব্যাগ ব্লাড লাগবে। এরপর বলেন আপনারা রোগী এখান থেকে নিয়ে যান। 

পরে বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে প্রসূতি ভাবি অসুস্থ হয়ে পড়লে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীকে বরিশাল আরিফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখান থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভাবিকে (নাহার) মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ও সিজারিয়ান অপারেশনের সময় চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় আমার প্রসূতি ভাবি ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
 
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করে মৃতের পরিবার। পরবর্তীতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ম্যানেজ হওয়ার কথাও স্বীকার করেন মৃত নাহারের ভাই আসলাম হাওলাদার।

এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য ক্লিনিকের অভিযুক্ত ডা. মুসলিমা জাহান ঐসির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে ক্লিনিকের অংশীদার সুমন হোসেন জানান, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ প্রসূতিকে ভর্তি করতে চায়নি। তার (প্রসূতির) স্বজনদের অনুরোধে ভর্তির পর সিজার করা হয়েছে। কিন্তু রোগীর স্বজনদের ম্যানেজ করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম