Logo
Logo
×

সারাদেশ

বন্যার কবলে কুড়িগ্রাম, চরম দুর্ভোগে হাজারও বানভাসি মানুষ

Icon

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ পিএম

বন্যার কবলে কুড়িগ্রাম, চরম দুর্ভোগে হাজারও বানভাসি মানুষ

কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা। 

বৃহস্পতিবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার এবং হাতিয়া পয়েন্ট বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

অপরদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানি বৃদ্ধির ফলে এর নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও পরিবার। উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চর বালাডোবা, বতুয়াতলি মুসারচর, ব্যাপারিপাড়া নতুন চর এবং পূর্ব ও পশ্চিম মশালের চর এবং উপজেলার হাতিয়া ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের কয়েকশ পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। দুই দিন ধরে এসব পরিবারের সদস্যরা পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন। বাধ্য হয়ে অনেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নৌকায় আশ্রয় নিয়েছেন। বসতভিটা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নৌকাতেই রান্না ও খাবার সেরে নিচ্ছেন। তবে বিশুদ্ধ পানি ও শৌচাগার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি মানুষ।

ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ মুখের চরগুলোতে বসবাসকারী বেশিরভাগ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেলেও অনেকে ঝুঁকি নিয়ে এখনো বসতভিটায় অবস্থান করছেন। পানিবন্দি এসব পরিবারে শুকনো খাবারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। 

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসারচরের মতিয়ার রহমান জানান, আমার চরের প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কেউ নৌকা, কেউ বা মাচান করে উঁচু স্থানে রয়েছেন। এখানকার প্রতিটা পরিবার খুব কষ্টে আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদনদীর পানি আরও ৪৮ ঘণ্টা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদনদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।  

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, এখন পর্যন্ত বানভাসিদের জন্য ৯ উপজেলায় ১৭৩ টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুত আছে ৬০০ টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা, যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম