Logo
Logo
×

সারাদেশ

গৃহবধূকে ৮ ঘণ্টা আটকে রাখলেন এনজিও কর্মীরা!

Icon

কালকিনি-ডাসার (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৯:১১ পিএম

গৃহবধূকে ৮ ঘণ্টা আটকে রাখলেন এনজিও কর্মীরা!

ফাইল ছবি

মাদারীপুরের কালকিনিতে একটি বেসরকারি এনজিওর কিস্তির টাকা পরিষদ করতে না পারায় তিন সন্তানের জননীকে আট ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।  পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। 

অপরদিকে এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে অভিযুক্ত এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচার দাবি করেছেন স্থানীয়রা। 

সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও ভুক্তভোগী পরিবার।  এর আগে রোববার রাত ১১টার দিকে কালকিনি উপজেলার গণউন্নয়ন প্রচেষ্টার অফিস কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।  

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের বাঘরিয়া গ্রামের অসহায় ওই গৃহবধূ গণউন্নয়ন প্রচেষ্টা (এনজিও) কালকিনি শাখা থেকে সম্প্রতি ৮০ হাজার টাকা ঋণ নেন। পরে তিনি ৩২ হাজার টাকার ঋণ পরিশোধ করেন।  পরে ওই অসহায় গৃহবধূর স্বামী বিদেশে গিয়ে নিখোঁজ থাকেন। ফলে ওই ঋণের বাবি টাকা পরিশোধ করতে না পারায় রোববার দুপুর তিনটায় গণউন্নয়ন প্রচেষ্টা (এনজিও) কালকিনি শাখার ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে অফিস কর্মী সুবেন্দু বৈদ্য ও রুপালী বৈরাগী ওই গৃহবধূকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে তাদের অফিস কার্যালয়ে নিয়ে আট ঘণ্টা আটকে রাখেন। 

পরে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ সজিব ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় রাত ১১টার দিকে ওই এনজিও কার্যালয় থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন।  

এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচার দাবি করেছেন সচেতন মহল।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ  কান্নাজরিত কণ্ঠে বলেন, বিদেশে আমার স্বামী নিখোঁজ থাকায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারিনি। তাই ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিন, অফিস কর্মী সুবেন্দু বৈদ্য ও রুপালী বৈরাগী আমাকে আমার স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে তাদের অফিসে আটকে রাখেন। আমি অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে কোনো রকম সংসার চালাই।  আমি কী করে এ ঋণের টাকা পরিশোধ করবো।

ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ সজিব বলেন, আমার এলাকার অসহায় গৃহবধূকে আটকে রাখার অভিযোগ পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে স্থানীয় লোকজন নিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করি।
 
স্থানীয় রফিক ও রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গণউন্নয়ন প্রচেষ্টার (এনজিও) এমন কাজ মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর বিচার চাই। তবে এর পূর্বেও তারা এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কিস্তির টাকা পাওনা থাকায় ওই গৃহবধূকে অফিসে আনা হয়েছিল। তাকে আমরা আটকে রাখিনি।

কালকিনি থানার ওসি সরকার আবদুল্লাহ মামুন জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠিয়ে ওই গ্রাহককে উদ্ধার করেছি।

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, ঋণের জন্য এক গৃহবধূকে আটকে রাখার বিষয়টি জেনেছি। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম