Logo
Logo
×

সারাদেশ

টানা বর্ষণে বান্দরবানে পাহাড় ধস, ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরে যেতে মাইকিং

Icon

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম

টানা বর্ষণে বান্দরবানে পাহাড় ধস, ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরে যেতে মাইকিং

বান্দরবানে টানা বর্ষণে বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে।  রুমা সড়কের দলিয়ান পাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে যানবাহন চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।  স্থানীয়রা সড়কে মাটি সরানোর কাজ করছে। ছবি: যুগান্তর

বান্দরবানে টানা বর্ষণে বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে।  অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ছোট-বড় পাহাড় ধসে মাটি জমে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে পাহাড়ের সড়কগুলো। অব্যাহত ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কায় ঝুকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসন, পৌরসভা ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। 

এদিকে টানা বর্ষণে জেলায় সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানি বেড়েছে।  সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮৭ মিলি মিটার।  তার আগের দিন হয়েছিল ৪৭ মিলি মিটার।  তবে সোমবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বেড়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবাস মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, এবারের বর্ষায় বৃষ্টি বেশি হবে। জুলাই মাসের পুরো সময়জুড়ে দেশে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। 

‘বান্দরবান জেলায় সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৮৭ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার হয়েছিল ৪৭ মিলি মিটার।  তবে সোমবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বেড়েছে।  টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে পড়েছে বিভিন্নস্থানে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কা থাকায় সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত শনিবার থেকেই জেলার সাতটি উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার সাতটি উপজেলার চৌত্রিশটি ইউনিয়নে ২০৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টি হওয়ায় রুমা, থানচি, বান্দরবান-লামা-সূয়ালক, রোয়াংছড়ি-রুমা, থানচি-আলীকদম'সহ অভ্যন্তরিন সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো পাহাড় ধসে সড়কে কাদা মাটি জমে সড়কগুলো পিচ্ছিল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।

পরিবহণ শ্রমিকনেতা জাফর আলম বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ছোটবড় পাহাড় অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো ঝুকিপূর্ণ বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।  দূর্ঘটনা রোধে যানবাহন চলাচলে সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. সামসুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডেই ঝুকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।  খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রও। বালাঘাটা সড়কসহ অভ্যন্তরীণ সড়কে পাহাড় ধসে জমে থাকা মাটি অপসারণ করা হচ্ছে নিয়মিত। 

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, তিনদিন ধরেই জেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে ও ঝুকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।  

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম