শিবচরে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টা, নারীদের ওপর হামলার অভিযোগ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
ছবি : যুগান্তর
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নে সেলিম কোটারীর পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে তাজেল কোটারী গংদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী সেলিমের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছেন তার পরিবার। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা হলেও আসামিদের ধরছে না পুলিশ। তিনি এখন পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন যাপন করছেন।
ভুক্তভোগী সেলিম কোটারী বলেন, ২০ বছর পর আমি গ্রামে আসি পরিবার নিয়ে থাকার জন্য। আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে একটি পুরোনো ঘর থাকায় সেটা মেরামতের চেষ্টা করতে গেলে বাধা দেয় আমার প্রতিবেশী তাজেল কোটারীসহ তার লোকজন। এ সময় আমার বাবা থানায় মৌখিক অভিযোগ দিলেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় থানা পুলিশ। সে সময় প্রাথমিক সংস্কার করে কোনো রকম থাকতে শুরু করি। পরে ৩ বছর পর নতুন করে ভবন তুলতে গেলে আবারও বাধা দেয় তারা।
সেলিম কোটারী আরও বলেন, তাদের বাধার মুখে পরে বাধ্য হয়ে শিবচর সিনিয়র জজ আদালতে একাধিক মামলা করি। পরে আদালত তদন্ত করে সব মামলাতেই আমাকে বাড়ি-ঘর মেরামতের অনুমতি দেন। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর চলতি বছরের ২৭ মার্চ বাড়িতে কাজ শুরু করলে আনোয়ার শরিফ, রহমান শরিফ, সেকান শরিফ, ইমন শরীফ, কামাল কোটারী, হাবুল কোটারী ফরহাদ ঢালিসহ বেশ কয়েকজন অমার অনুপস্থিতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ১২টি পিলারসহ স্থাপনা ধ্বংস করে। এ ঘটনায় গত ২৭ মার্চ শিবচর থানায় মামলা করলে একমাস পর আবারও তারা হামলা চালায়। এ সময় আমার ও ছেলের মাথায় রামদা দিয়ে কোপ দেয় এবং আমার স্ত্রী মেয়ে, ছোট ভাইয়ের বউসহ বাড়িতে থাকা সবার ওপর হামলা চালায়। হামলার পর আমার স্ত্রী থানায় আবারও মামলা করেন। এত মামলা করার পরও পুলিশ আসামিদের কেন গ্রেফতার করছে না তা বুঝতে পাড়ছি না।
নিজের ও পরিবারের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সেলিম বলেন, আসামিরা এখনও আমাকে এবং আমার পরিবারকে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতো আঘাতের পরও আমি পরিবার নিয়ে কোনো রকম বেঁচে আছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করারও পরও তারা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। এতে করে আমি আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যদিয়ে বসবাস করছি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবচর থানার সাব ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. আলমগীর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, মামালার সব তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এফআইআর হলেই আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।