Logo
Logo
×

সারাদেশ

সাপের কামড়ে মৃত ব্যক্তিকে ঝাড়ফুঁক জীবিত করার চেষ্টা

Icon

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম

সাপের কামড়ে মৃত ব্যক্তিকে ঝাড়ফুঁক জীবিত করার চেষ্টা

কালিয়াকৈরে ঢালজোড়া উত্তর আশাপুর বাসুরা গ্রামে সাপের কামড়ে মৃত যুবককে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে জীবিত করার কথা বলে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন এক কবিরাজ। শনিবার বিকালে মৃত যুবকের পরিবারের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে কড়ি (ছোট শামুকের খোল, যা ওঝাকবিরাজ ঝাড়ফুঁকে ব্যবহার করেন) আনার কথা বলে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি।

এদিকে কবিরাজের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর শনিবার মধ্যরাতে মৃত যুবককে দাফন করা হয়েছে।

মৃত সাইফুল ইসলাম (৪০) কালিয়াকৈরে উত্তর আশাপুর বাসুরার ইউনুছ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে মাছ ধরতে বাড়ির পাশের একটি বিলে যান সাইফুল। পথে তার বাঁ পায়ে সাপে কামড় দেয়। সঙ্গে থাকা অন্য ব্যক্তি টেঁটা দিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন। পরে মৃত সাপটি নিয়ে সাইফুল বাড়িতে ফিরে স্বজন ও এলাকাবাসীকে সাপে কামড় দেওয়ার ঘটনাটি জানান। প্রথম সাইফুলকে স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে নেওয়া হয়। ঝাড়ফুঁক শেষে কবিরাজের বাড়ি থেকে রাতেই তাকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। শনিবার দুপুর দুইটাই দাফনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়।

এ সময় এক ব্যক্তি এসে কবিরাজ পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির শরীর শক্ত হয়ে যায়। কিন্তু তার (সাইফুল) শরীর শক্ত হয়নি। ঘুমন্ত মানুষের মতো নড়াচড়া করছে। কড়ি নিয়ে এসে ঝাড়ফুঁক করলে তাকে সুস্থ করা সম্ভব।’ কবিরাজের এমন কথার পর লাশ দাফন বন্ধ করা হয়। কবিরাজের কথামতো খোলা মাঠের মধ্যে কলাগাছ, দুধ, মহিষের শিংসহ বিভিন্ন জিনিস আনা হয়।

কবিরাজ জানান, চিকিৎসার জন্য কড়ি প্রয়োজন। এটি সাভারে পাওয়া যেতে পারে। এ জন্য কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা লাগবে। তাকে ১৫ হাজার টাকা দেন স্বজনরা। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত ১২টা বেজে গেলেও সেই কবিরাজ আর ফিরে আসেননি। ওই কবিরাজের পরিচয় তারা জানতে পারেননি।

কালিয়াকৈর থানার ওসি এএফএম নাসিম বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মৃত ব্যক্তির স্বজনরা লাশ ধরতে দেননি। ওঝা নাকি তাদের বলে গেছেন, চিকিৎসা শেষ করার আগ পর্যন্ত এই লাশ ধরা যাবে না। ওই ওঝা কড়ি আনার কথা বলে আর ফিরে আসেননি। পরে স্বজনরা লাশ দাফন করেছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম