ছাত্রলীগকর্মী ইজাজ হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রকাশ্যে গুলি করে আশরাফুল রহমান ওরফে ইজাজকে (২২) হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান আবদুর রশিদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন, মজলিশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়্যারম্যান তাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাসিম, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মিঠু, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী খোকন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, আগামী ১৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলার সকল আসামিকে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ্য, নিহত আশরাফুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কলেজপাড়ার আমিনুর রহমানের ছেলে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী এবং সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ওরফে শোভনের (আনারস প্রতীক) পক্ষের কর্মী ছিলেন।
চতুর্থ ধাপে গত বুধবার (৫ জুন) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকেরা আনন্দমিছিল বের করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জেলা শহরের কলেজপাড়ায় ওই মিছিলে গুলি করা হয়। এতে মিছিলে থাকা ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। মিছিলে থাকা ছাত্রলীগের অপর একটি পক্ষ এই গুলি চালায়।
এ ঘটনায় সাবেক ভিপি জালাল হোসেন খোকাকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়। গত ৮ জুন হত্যাকারী হাসান আল ফারাবী জয়কে নেত্রকোনা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের জবানবন্দিতে জালাল হোসেন খোকার নির্দেশে এজাজকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেন জয়। তবে ঘটনার ২১ দিন পার হলেও জালার হোসেন খোকাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।