বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক, অতঃপর...
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:০১ পিএম
প্রতীকী ছবি
জেলার ভাঙ্গায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সালমান মুন্সী নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তিনি ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দ গ্রামের লুৎফর মুন্সীর ছেলে।
শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ সালমান মুন্সির বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সালমান মুন্সীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রামের তরুণীর সঙ্গে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ দুবছর তাদের প্রেমের সম্পর্কের পর ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন এবং তা ভিডিও করে রাখেন। শারীরিক সম্পর্কের ফলে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য সালমান মুন্সীকে চাপ দেন।
একপর্যায়ে ওই তরুণীকে কৌশলে ঢাকা শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে জোর করে গর্ভপাত ঘটানো হয়। পরে ওই তরুণীর ছবি ব্যবহার করে কিছু অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া রাজধানী টেলিভিশন নামের ইউটিউব চ্যানেলে তৃতীয় চোখ নামে অনুষ্ঠানে একটি অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যা ভাইরাল হয়ে যায়।
পরে কোনো উপায় না দেখে ভুক্তভোগী তরুণী ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ সালমান মুন্সীকে আটক করে জেলহাজতে পাঠান।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার এসআই অরুপ কুমার বিশ্বাস জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সালমান মুন্সীকে তার বাড়ি বামনকান্দা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ও ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে।