আ.লীগ নেতা হত্যার ভিডিও ভাইরাল
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়ার হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, সুরুজ মিয়ার হাতে একটি রামদা ও তার প্রতিপক্ষ ১০/১২ জন তাদের প্রত্যেকের হাতেই রামদা দেখা গেছে। পরে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সুরুজ মিয়াকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। সুরুজ মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছে নিহতের ছেলে মুন্না। পুলিশ এ মামলায় বাপ্পি ও জামাল নামে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এখানে মানুষের চিকিৎসা হয় নাকি ময়লার, প্রশ্ন আইনমন্ত্রীর
মামলার আসামিরা হলেন- আলাউদ্দিন ওরফে হীরা, সালাউদ্দিন সালু, তামীম, সফর আলী মাঝি, নাহিদ, সোহাগ, সোহেল, তানিম, মনির, হাবিব, আলআমিন, আনোয়ার, নয়ন, রাশেদ, রফিকুল, বাতেন, রাসেল, আদিল, আতিক, বাপ্পি, জামাল হোসেন।
মামলা সূত্র জানায়, ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক এবং আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি সুরুজ মিয়া এলাকায় চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য স্থানীয় সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন ওরফে হিরা ও সালাউদ্দিন সালুসহ তাদের বাহিনীর লোকজনকে অনুরোধ করেন।
এ নিয়ে হিরা ও সালু ফুসে উঠে সুরুজ মিয়ার ওপর। ২৭ জুন দুপুরে সুরুজ মিয়া মসজিদের জোহর নামাজ পড়ে বসে ছিলেন। এ সময় হিরা ও সালু বাহিনীর অন্তত ৩০ জন রামদা হাতে সুরুজ মিয়ার বড় ছেলে রাজু ও জনিকে পথরোধ করে এলোপাতাড়ি কোপায়।
এ সময় খবর পেয়ে সুরুজ মিয়া দুই ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে।
ওই সময় রাসেল ও শাকিল নামে আরও দুজন অটোরিকশা চালককেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তখন তাদের ৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরুজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে রাজু ও জনির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ায় করছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম জানান, মামলার এজাহারনামীয় সব আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।