বড়লেখা উপজেলার বিমল চন্দ্র দাস নামের একজনকে সেলসম্যানের চাকুরি দেওয়ার চুক্তি করে দুবাই নিয়ে প্রতারণা করেছে এক দালাল। বিমল দুবাইয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সে উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের রসেন্দ্র দাসের ছেলে। 

তার ভাই নকুল চন্দ্র দাস দুবাই প্রবাসী দালাল ও তার বাবার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। আদালত অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হচ্ছেন- দুবাই প্রবাসী উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সালদিগা গ্রামের বিনোধ বিহারী দাসের ছেলে ক্ষিতিশ দাস ও ক্ষিতিশ দাসের ছেলে যিশু রাম দাস। 

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইয়াছিন আলী। তিনি বলেন, আদালত মামলাটি তদন্ত করতে থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।  

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে দুবাই প্রবাসী যিশু রাম দাস তার বাবা ক্ষিতিশ দাসের মাধ্যমে বিমল চন্দ্র দাসকে ফাস্টফুডের দোকানে সেলসম্যানের কাজের ভিসা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। পরে ভিসার মূল্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করে যিশু রাম চুক্তিবদ্ধ হয়। 

চুক্তিমতো টাকা নিয়ে তাকে (বিমল) দুবাই নেয়। দুবাইয়ে নেওয়ার পর বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আরও ২৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু প্রতারক যিশু রাম দাস চাকুরি ও আকামা কোন কিছুই করে দেয়নি বিমল দাসকে। সেখানে (দুবাইয়ে) অসহায় হয়ে বারবার যোগাযোগ করলেও যিশু রাম দাস ও তার বাবা ক্ষিতিশ দাস উল্টো হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করে।

মামলার বাদী নকুল চন্দ্র দাস জানান, যিশু রাম দাস ও ক্ষিতিশ দাস ১২০০/১৩০০ দেরহামের চাকরি দেওয়ার চুক্তি করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়ে আমার ভাইকে দুবাই পাঠায়। সেখানে নিয়ে কৌশলে আরও ২৪ হাজার টাকা নিয়েও আমার ভাইয়ের কোন কিছুই করে দেয়নি। আমার ভাইকে দুবাই পাঠাতে আরও দুই লাখ টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে। আমার ভাই সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বৈধ কাগজপত্র করে না দেওয়ায় তাকে দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে। তারা শুধু আমার ভাইয়ের সঙ্গেই নয়, আরও অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করেছে।