ঋণের কিস্তি বাকি, কোডেক অফিসে নারীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ১০:২১ পিএম
ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করায় থানায় যাওয়ার কথা বলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে এক নারীকে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (কোডেক) অফিসে নিয়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ব্যবস্থাপক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) কোডেকের উপজেলার বাহেরচর শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই নারী অভিযোগ করেন, আমার নাম ব্যবহার করে ঋণ নেন আমার স্বামী। অর্ধেকের বেশি কিস্তি দিয়ে তিনি এলাকা থেকে লাপাত্তা হয়ে যান। তাই কিস্তির টাকার জন্য এনজিওকর্মীরা আমাকে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু টাকা পরিশোধের কোনো সামর্থ্যই আমার নেই। সন্তানদের নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়ইতলা বাজারে গেলে ঋণের জামিনদার দেলোয়ার হোসেন আমাকে আটকে এনজিওকর্মীদের খবর দেন। শাখা ব্যবস্থাপকসহ ৬-৭ জন কর্মী এবং একজন পুলিশ সদস্য আমাকে রাঙ্গাবালী থানায় নেওয়ার কথা বলে কোডেক অফিসে নিয়ে যান। সেখানে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেন শাখা ব্যবস্থাপক এবং মাঠকর্মীরা। কিন্তু টাকা পরিশোধ করতে না পারায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায় আমাকে ঘাড় ধাক্কাও দেন শাখা ব্যবস্থাপক। পরে টাকা পরিশোধের শর্তে রাত ১০টার দিকে আমাকে ছাড়া হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলার চতলাখালী গ্রামের শাহিন হোসেন বলেন, ঋণের টাকার জন্য ওই নারীকে কোডেক অফিসে নিয়ে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তার গায়ে হাত তোলেন ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক)।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কোডেকের বাহেরচর শাখা ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির বলেন, ওই নারী এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। কয়েকটি কিস্তি দেওয়ার পর তার কাছে মোট ৪২ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে আমাদের। কিন্তু তিনি পরপর তিন মাসে ৩০ হাজার টাকা কিস্তি দেননি। তার কাছে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি কিস্তি দেননি। তাই জামিনদারকে বিষয়টি জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি এবং অফিসের ৬-৭ জন ও রাঙ্গাবালী থানার কনস্টেবল সোহান গিয়ে তাকে নিয়ে আসি। এ সময় কনস্টেবল বিষয়টি অফিসে বসেই সমাধানের প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা অফিসে বসি। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। কিন্তু তার গায়ে কেউ হাত তোলেননি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।