রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত আইনে মামলার ৩ নম্বর আসামি হয়েও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মোকাদ্দেস শপথ গ্রহণ করেছেন। 

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর তাকে শপথ পাঠ করান। একইসঙ্গে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানরাও শপথ নেন। 

শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মোকাদ্দেস আলী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৫ মে চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন আবদুল মোকাদ্দেস আলী।

পাহাড়ে ‘হেলিকপ্টার অভিযানে’ আরও দুই আসামি গ্রেফতার

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকে উপজেলা পরিষদের সামনে মূল সড়কে বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছিল। এ সময় আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে কয়েকটি পিস্তলের গুলিবর্ষণ করা হয়। আতঙ্কে তারা মানববন্ধন ছেড়ে উপজেলা চত্বরের ভেতরে পালাতে গেলে আসামিরা এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ও পাথর ছোড়ে। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম অডিটরিয়ামের সামনে পড়ে গেলে তাকে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।  

এদিকে আশরাফুল ইসলাম গুরুতর আহতাবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে বুধবার দুপুরে মারা যান তিনি। 

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, আশরাফুল হত্যার ঘটনায় শাহিনুর রহমান পিন্টু ২৩ জুন বাদী হয়ে দ্রত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।  এ ছাড়াও ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার ৩ নম্বর আসামি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মোকাদ্দেস আলী।