সিলেটে শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাতার গলা কাটা লাশ উদ্ধার
ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:২৩ পিএম
সিলেটের ওসমানীগরে শ্বশুরবাড়ি থেকে গলা ও পেট কাটাবস্থায় ছায়েদ মিয়া নামের এক জামাতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের কামারগাঁওয়ে শ্বশুর মৃত মতিন মিয়ার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত ছায়েদের স্ত্রী শাহানা আক্তার পলিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত ছায়েদ গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামের আব্দুল ছত্তারের ছেলে।
ছায়েদের শাশুড়ির দাবি গভীর রাতে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে আহত করার পর নিজের গলা ও পেট কেটে আত্মহত্যা করেছে জামাতা। নিহত ছায়াদের মৃত্যু ঘটনা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। নিজের পেট কেটে নাড়িভুঁড়ি বের করে অথবা আগে নিজের গলা ৮ ইঞ্চি কেটে একজন মানুষ কিভাবে আত্মহত্যা করতে পারে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আসলে ছায়েদের নিহতের ঘটনা আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখতে স্বজনরা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে মূল রহস্য উদ্ঘাটন করার দাবি জানিয়েছে।
ছায়েদের বড় মেয়ে সাইরা জান্নাত মাইশা (৮) জানায়, তার বাবা-মার মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। সোমবার ভোর ৪টার দিকে চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি আমার বাবার পেট কাটা এবং দা দিয়ে নিজে নিজের গলা কেটে ফেলছেন। মাকে জড়িয়ে দেখি অনেক রক্ত।
শাশুড়ি সৈয়দা বেগম বলেন, চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকে দেখি অন্ধকার। লাইট নিয়ে গিয়ে দেখি মেয়ের জামাইয়ের গলা ও পেট কাটা অবস্থায় নিথর দেহ পড়ে আছে এবং মেয়ের অবস্থাও খারাপ।
ছায়েদের লাশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরিকারী ওসমানীনগর থানার এসআই সুবিনয় বৈদ্য বলেন, লাশের গলা অন্তত ৮ ইঞ্চি কাটা রয়েছে। পেটের কাটা অংশ দিয়ে নাড়িভুঁড়ি বেড়িয়ে গেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক বলেন, ঘটনাটি হত্যা না কি আত্মহত্যা সে বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে।