রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি, কাশিসহ পানিবাহিত নানা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হয়েছে,যাদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।
জানা যায়, প্রায় ১ মাস ধরে সাজেকের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা বেটলিং মৌজার নিউ থাংনাংপাড়া, তারুমপাড়া, শিয়ালদাইপাড়া, অরুণপাড়া ও জামপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় জ্বর, সর্দি, কাশি, পাতলা পায়খানা, পেটব্যাথাসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন গ্রামের মানুষ। বর্তমানে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কিন্তু সাজেক ইউনিয়ন সদর থেকে শতাধিক কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ওইসব লোকালয় থেকে উপজেলা বা জেলা সদরের হাসপাতালে নিয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। খবর পেয়ে জেলা সদর থেকে ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার থেকে ওইসব এলাকায় গিয়ে আক্রান্তদের মাঝে চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কান্তি মজুমদার জানান, ওইসব দুর্গম এলাকায় পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগে কমপক্ষে দুদিন।
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মেডিকেল টিম সোমবার থেকে চিকিৎসাসেবা শুরু করেছে। তারা ফিরলে পরবর্তী পরিস্থিতির বিস্তারিত জানা যাবে।
রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. নুয়েন খীসা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মী ও ব্র্যাকের একটি টীম সেখানে গিয়ে চিকিৎসাসেবার কাজ শুরু করেছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে প্রয়োজনে আরও মেডিকেল টিম পাঠানো হবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম। সেখানে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও বিশুদ্ধ পানির উৎস নেই। ফলে বর্ষা মৌসুমে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। সেখানে যাতায়াতের জন্য সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও নেই। দ্রুত মেডিকেল টিম পাঠাতে হলে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সাহায্য প্রয়োজন। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।