Logo
Logo
×

সারাদেশ

ভুল অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগে কুমিল্লায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

Icon

কুমিল্লা ব্যুরো 

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:১৩ পিএম

ভুল অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগে কুমিল্লায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

কুমিল্লায় ভুল অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগে মিম আকতার নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। 

রোববার রাতে নগরীর হেলথ অ্যান্ড ডক্টরস জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। 

মারা যাওয়া মিম (১৪) ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া কৃষ্ণপুরের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে এবং কংশনগর উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার পর থেকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পলাতক রয়েছেন। 

পরিবারের অভিযোগ, অপারেশন থিয়েটারে অতিরিক্ত অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার কারণে হার্ট ব্লক হয়ে মারা গেছে মিম। 

জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার সোমবার জানান, অ্যানেসথেসিয়া করার কিছুক্ষণ পর মিম মারা যায়। তার অপারেশন করা সম্ভব হয়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি করেছি। আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। 

পরিবার জানায়, কুরবানির ঈদের এক সপ্তাহ আগে টনসিলের ব্যথা নিয়ে মিম তার মায়ের সঙ্গে কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকার ফেইথ মেডিকেল সার্ভিসেস অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. মো. জহিরুল হকের কাছে আসে। চিকিৎসকের পরামর্শে গলার কিছু পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেখালে তিনি অপারেশনের কথা বলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চিকিৎসক জহিরুল অপারেশনের জন্য মিমকে হেলথ অ্যান্ড ডক্টরস জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকিয়ে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার পরই মিমের শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে চলে যায়। ১০ মিনিট পর চিকিৎসক জহিরুল বের হয়ে স্বজনদের বলে মিম হার্ট অ্যাটাক করেছে। তাকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিতে হবে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় মিম।

মিমের মা লিপি আক্তার বলেন, ভুল চিকিৎসা দিয়ে তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। গলায় ছোট একটা টনসিল হয়েছে। অপারেশন থিয়েটারে ঢুকিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে জহির ডাক্তার বের হয়ে বলেন আমার মেয়ে হার্ট অ্যাটাক করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। 

মিমের বাবা বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার মেয়ে মারা যাওয়ার পর চিকিৎসক জহির ডাক্তার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা রাজি না হওয়ায় চিকিৎসক আমার মেয়ের পরীক্ষার রিপোর্টসহ যাবতীয় কাগজ নিয়ে হাসপাতাল তালা মেরে পালিয়ে গেছে। 
এ বিষয়ে জানতে চিকিৎসক জহিরুল হকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম