খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষকরাই দেশের প্রাণ। কৃষিই মূল চালিকা শক্তি। কৃষিতেই আমাদের সমৃদ্ধি। কৃষক বেঁচে থাকলে এদেশে খাদ্যের অভাব হবে না। দুর্ভিক্ষও হবে না।

সোমবার দুপুরে নিয়ামতপুর সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের পদক্ষেপ নেওয়া ফলে ফসল উৎপাদনে বিপ্লব ঘটেছে। এখন স্বল্প সময়ে সীমিত জমিতে অধিক ফসল ফলাতে সক্ষম হচ্ছেন কৃষকরা।

তিনি বলেন, কৃষি ও প্রযুক্তি মেলা আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি ও উচ্চফলনশীল জাতের সঙ্গে কৃষককে পরিচিত করা হচ্ছে। কৃষকও সাদরে গ্রহণ করছেন প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়। মিঠাপানির মাছ উৎপাদনেও তৃতীয় স্থানে আমরা।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আওয়ামী লীগ কৃষকবান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা কৃষকের বন্ধু। কৃষি প্রণোদনা ও ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন তিনি। সমবায়ের ভিত্তিতে চাষাবাদ হলে কৃষির জমি বাড়বে, উৎপাদনও বাড়বে। ইতোমধ্যে মডেল হিসেবে অনেক স্থানে সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ হচ্ছে। এ পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে দিন দিন।

ধানের দাম কম বলে অভিযোগ ছিল। সরকার ধানের দাম বাড়িয়েছে। ৩০ টাকার ধানের দাম ৩২ টাকা করেছে সরকার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মিনিকেট নামে ধান নাই, চালও নাই। নতুন আইনে বস্তার গায়ে দাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যত্যয় ঘটলে ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমতিয়াজ মোর্শেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত এ মেলায় প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। স্টলগুলোতে কৃষি যন্ত্রপাতি ও উন্নত প্রজাতির বিভিন্ন ফসল প্রদর্শন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ১২৫০ জন কৃষকের মাঝে উফশী জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়।