মাদারীপুরের কালকিনিতে পারিবারিক কলহের জের ধরে নাদিয়া বেগম (১৮) নামে এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। তবে নাদিয়ার স্বজনদের দাবি, নাদিয়াকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

নাদিয়া উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকার খাসেরহাটের কানুরগাও গ্রামের বাসিন্দা ও শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার পুলিশ সদস্য জাহিদ হোসেনের স্ত্রী। 

হাসপাতাল ও নিহতের পরিবারসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকার পরিপত্ত গ্রামের জুলহাস তালুকদারের মেয়ে নাদিয়াকে নিজ বসতঘরের ভেতরে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তাকে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে কালকিনি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে কালকিনি থানা পুলিশ নাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।

মৃত নাদিয়ার আত্মীয় মাদারীপুর জজকোর্টের আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, ছুটিতে এসে নাদিয়াকে যৌতুকের দাবিতে মাঝে মধ্যেই মারধর করতো তার স্বামী জাহিদ। শুক্রবার রাতেও খালি বাড়িতে বসে নাদিয়াকে প্রচণ্ড মারধর করে জাহিদ। নাদিয়াকে গলাটিপে হত্যা শেষে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে জাহিদ। ঘটনার পর জাহিদ গা ঢাকা দিয়েছে। আমরা মামলা করার সব প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা জাহিদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

তবে এ বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত স্বামী জাহিদকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে আসলে কিভাবে নাদিয়ার মৃত্যু হয়েছে। তবে এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।