ব্রিজ ভেঙে ৯ কনেযাত্রী নিহত, ঠিকাদারের বিচার দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
ছবি: যুগান্তর
বরগুনার আমতলীতে ব্রিজ ভেঙে কনেযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস খালে পড়ে ৯ জন নিহতের ঘটনায় ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধার বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
দুর্ঘটনার পরপর ব্রিজ নির্মাণকারী ঠিকাদারের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ২০০৮-০৯ অর্ধ বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত চাওড়া নদীর উপর হলদিয়া হাট এলাকায় আয়রণ ব্রিজ নির্মাণের দরপত্র আহবান করে। ওই ব্রিজের নির্মাণ কাজ পায় তৎকালিন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি শহীদুল ইসলাম মৃধা।
অভিযোগ রয়েছে, ব্রিজ নির্মাণকালে ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা দায়সারা ব্রিজ নির্মাণ করেছে। নির্মাণের পাঁচ বছরের মাথায় ব্রিজের মাঝের ভিম ভেঙে যায়। গত ১০ বছর ধরে ওই ভাঙা ব্রিজ দিয়ে হলদিয়া ইউনিয়ন ও চাওড়াসহ উপজেলার অর্ধ লাখ মানুষ চলাচল করে আসছে।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, ব্রিজ নির্মাণকালে ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা দায়সারা কাজ করেছে। ফলে নির্মাণের অল্প দিনের মধ্যেই ব্রিজের মাখঝানের ভিম ভেঙে গেছে। ওই ভাঙা ব্রিজ দিয়ে অন্তত অর্ধলাখ মানুষ চলাচল করতো।
তিনি আরও বলেন, এই ভাঙা ব্রিজ মেরামতের জন্য আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বহুবার জানিয়েছি। তিনি আমলে নেননি। যার ফলে শনিবার ৯ জনের প্রাণ গেল। ঠিকাদার দায়সারা ব্রিজ নির্মাণ করায় এবং উপজেলা প্রকৌশলী ব্রিজ সংস্কার না করায় তাদের শাস্তি দাবি করছি।
অভিযুক্ত ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা বলেন, আমি যথাযথভাবেই ব্রিজ নির্মাণ করেছি। কাজে কোনো অনিয়ম করিনি।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমতলীতে আমার যোগদানের আগে এ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। উদ্ধার কাজের তদারকি করছি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্রিজ নির্মাণে অনিয়ম তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুনা-১ আসনের সংসদ গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, নিহতের স্বজনদের হাসপাতালে সমবেদনা জানিয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ব্রিজ নির্মাণে অনিয়মের কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে।