গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার মহদীপুরে চাঞ্চল্যকর রুবেল হত্যার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে র‌্যাব-১৩ এর সদস্যরা এজহারনামীয় দুজন এবং পলাশবাড়ি থানা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে এ তথ্য দিয়েছে পলাশবাড়ি থানা পুলিশ। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্ক, হাতাহাতি এবং পরবর্তীতে হামলা ও সংঘর্ষের জেরে খুনের ঘটনা ঘটে।   

পুলিশ জানায়, তুচ্ছ ঘটনায় তর্ক-বিতর্ক ও হমলার ঘটনা ঘটে পলাশবাড়ি উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বুজরুক বিষ্ণুপুর গ্রামে। ওই গ্রামের রুবেল মিয়া, রাজা মিয়া, লিটন মিয়ার উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে ওই গ্রামের দুদু মিয়া, খালেক মিয়া, শরীফসহ তার সহযোগীরা। এতে উভয়পক্ষের রুবেল মিয়া, খাজা মিয়া, রিপন, সাইফুল, দুদু মিয়া, শামসুল আলম, সাইদসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে রুবেল মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রথমে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

পলাশবাড়িতে তুচ্ছ ঘটনায় দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত রুবেল মিয়ার মৃত্যু

সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রুবেল মিয়াকে ঢাকার মেট্রোপলিটন মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর আগে মারধর ও বাড়িঘরে হামলার অভিযোগে নিহতের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রেবা বেগম বাদী হয়ে পলাশবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। রুবেল মিয়ার মৃত্যুর পর মামলাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে র‌্যাব-১৩ এর সদস্যরা কুড়িগ্রামের রৌমারীর একটি চর থেকে আতিয়ার রহমান ও মধু মিয়াকে গ্রেফতার করে।

পলাশবাড়িতে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১৫, বাড়িঘর ভাংচুর  

অন্যদিকে শনিবার বিকালে ঘটনাস্থল বোর্ডের এলাকার আশপাশে অভিযান চালিয়ে পলাশবাড়ি থানা পুলিশ জামরুল মিয়া, আফসার মিয়া ও অবু উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে পলাশবাড়ি থানার ওসি আজমিরুজ্জামান বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বসে নেই। যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।