সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহণ। ছবি : সংগৃহীত
লক্ষ্মীপুরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের দেওয়া ‘স্বপ্নযাত্রা’ অ্যাম্বুলেন্সে এবার যাত্রী পরিবহণের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার দুপুরে শহর ঝুমুর এলাকায় সদরের শাকচর ইউনিয়নের অ্যাম্বুলেন্সে কয়েকজন ঢাকাগামী যাত্রী দেখা গেছে।
ওই যাত্রীরা জানিয়েছেন, তারা জনপ্রতি ৭০০ টাকা ভাড়ায় অ্যাম্বুলেন্সে উঠেছেন। এ নিয়ে সংবাদকর্মীর করা সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবহনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে এ স্বপ্নযাত্রা মোবাইল ত্র্যাপসের মাধ্যমে কম খরচে জনগণ সুফল পাওয়ায় সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা ক্যাটাগরিতে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২৩’ পেয়েছিলেন সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দসহ কয়েকজন কর্মকর্তা।
অন্যদিকে এর আগেও রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে অ্যাম্বুলেন্স বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ ও রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মোহাম্মদ মিন্টু ফরায়েজি। তখন মিন্টু ফরায়েজিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও গুণতে হয়েছিল।
শনিবারের ওই ভিডিও একপর্যায়ে ড্রাইভার নুরুল আমিনকে বলতে শোনা যায়, ঈদ পরবর্তী সড়কে ঢাকাগামী প্রচুর যাত্রী। কিন্তু সে তুলনায় গাড়ি নেই। যাত্রীদের অনুরোধেই তাদেরকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। সরকার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন জনগণের জন্য। এখন যাত্রীদেরই সেবা দিচ্ছেন।
যাত্রী নেওয়া স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্স চালক নুরুল আমিন বলেন, আমার ভুল হয়েছে। চেয়ারম্যান আমাকে ফোন দিয়ে গাড়ি দিয়ে দিতে বলেছেন। এ ধরনের ভুল আর হবে না।
শাকচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমি তাৎক্ষণিক ড্রাইভারকে কল দিয়েছি। তার কাছ থেকে গাড়িটি নিয়ে নেওয়া হবে। কোনোভাবেই রোগীর পরিবর্তে অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী ওঠানোর সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেই ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছি গাড়িটি ওই ড্রাইভার থেকে নিয়ে নিতে। এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী বহনের ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।