নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের ঘাটচিলান গ্রামের ধানের চাতালে একটি বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলেছে। স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে সাপটি মেরে ফেলেছেন। এমন প্রচারণায় জেলাজুড়ে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
তবে এর আগেও লালপুর উপজেলার পদ্মানদীর চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ দেখার দাবি করেছিলেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা।
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে লালপুর উপজেলার ঘাটচিলান গ্রামের সত্যেন্দ্র নাথের ধানের চাতালের ছাইয়ের গাদার পাশে একটি সাপের দেখা মেলে। পরে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাপটি দেখতে কিছুটা রাসেলস ভাইপার সাপের মতো হলেও আসলে এটি রাসেলস ভাইপার নয়। এটি মূলত ঘর গিন্নি সাপ।
যদিও লালপুরের কদিমচিলান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসারুল ইসলাম শনিবার দুপুরে যুগান্তরকে তার এলাকায় রাসেলস ভাইপার সাপ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, এ বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন থাকার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।
শনিবার বিকালে হঠাৎ করে আবার লালপুরের বিলমাড়িয়া এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে নওশারা গ্রামে বাদামের জমিতে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ ও তিনটি সাপের বাচ্চা মারার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতের জন্য ওই গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় সাংবাদিক সালাউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টিকে গুজব বলে দাবি করেন। তিনি জানান, কোনো রাসেলস ভাইপার সাপ এলাকায় দেখা যায়নি।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক ফজলে রাব্বী যুগান্তরকে বলেন, নাটোরে শুক্রবার যে রাসেলস ভাইপার সাপ পাওয়ার কথা প্রচার হচ্ছে তা সত্য নয়, গুজব।