ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি ভৈরবে হাত হারানো শিশু
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম
ভৈরবে ওয়ার্কশপে হাত হারানো ১০ বছরের শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্ট আদেশ দিলেও এখনো কোনো টাকা পায়নি শিশুটির পরিবার।
৩১ জানুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের আদেশে বলা হয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি ১৫ লাখ টাকার ও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ব্যাংকে ১৫ লাখ টাকার এফডিআর করে দিতে হবে শিশু নাহিদের নামে। একই সঙ্গে শিশুর লেখাপড়ার খরচ বাবদ প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা তার ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হবে।
শিশুটির বাবা মামলার বাদী নিয়ামুল আনোয়ার বলেন, বিবাদী হাজী ইয়াকুব আলী হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী এখনো প্রথম কিস্তির ১৫ লাখ টাকার এফডিআর করে দেননি এবং লেখাপড়ার খরচ বাবদ মাসে ৭ হাজার টাকা কোনো মাসেই পরিশোধ করেননি।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভৈরবের ইয়াকুব ওয়ার্কশপে শিশু নাহিদকে জোর করে কাজ করাতে নিলে মেশিনে তার ডান হাত কেটে যায়। পরে চিকিৎসকরা তার কনুই পর্যন্ত কেটে তাকে প্রাণে রক্ষা করেন। পরে এ ব্যাপারে নাহিদের বাবা হাইকোর্টে এক রিট পিটিশন করে ওয়ার্কশপ মালিকের কাছে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পর গত ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্ট ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেন।
শিশু নাহিদের বাবা নিয়ামুল আনোয়ার বলেন, আমি দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে আজ নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার ছেলে এখন পঙ্গু, তার জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমি রায়ের সার্টিফায়েড কপি ঈদের আগে হাতে পেয়েছি। বিবাদী পক্ষের আপিলের সময় পার হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ওয়ার্কশপ মালিক হাজী ইয়াকুব আলী বলেন, ক্ষতিপূরণের এত টাকা দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। আমি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব। আপিলের সময় চলে গেছে বললে তিনি তা অস্বীকার করেন।