জামালপুরে সড়ক ভবনে দরপত্র ছিনতাই, কর্মকর্তা-কর্মচারী লাঞ্ছিত
জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৪, ১১:০৫ পিএম
জামালপুরের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের সড়ক ও জনপথ ভবনের তৃতীয়তলায় সহকারী প্রকৌশলী মোবারক হোসেনের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই কর্মকর্তা-কর্মচারী লাঞ্ছিত ও আহত হন।
আহতরা হলেন- সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সড়ক সার্কেল) সহকারী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন ও একই অধিদপ্তরের অফিস সহকারী লক্ষ্মী রানী।
অফিস সূত্রে জানা যায়, শেরপুর-জামালপুর বনগাঁও সড়কের উপর নির্মিত ব্রহ্মপুত্র সেতুর টোল আদায়ের ইজারার জন্য শেরপুর সড়ক বিভাগ একটি দরপত্র চলতি মাসের ১১ তারিখে আহ্বান করে; যা ২০ জুন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়। শেরপুর সড়ক বিভাগ, শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জামালপুর সড়ক অধিদপ্তর ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার স্থান। তারই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে জামালপুর সড়ক অধিদপ্তরে একটি শিডিউল জমা পড়ে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সড়ক সার্কেল) সহকারী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন বলেন, ব্রহ্মপুত্র সেতুর টোল আদায়ের ইজারার একটি শিডিউল জামালপুর সার্কেলে জমা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার পর টেন্ডার বাক্স খুলে দরপত্রটি আমার রুমে নিয়ে আসা হয়। দরপত্রটি শেরপুরে পাঠানোর জন্য সিলগালা করে স্মারক নাম্বার দেওয়ার সময় ৬ থেকে ৭ জন দুর্বৃত্ত এসে অতর্কিত হামলা করে দরপত্রটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা আমাকে ও অফিস সহকারী লক্ষ্মী রানীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
এ বিষয়ে জামালপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নওয়াজিস রহমান বিশ্বাস বলেন, দরপত্রটি বাক্স থেকে বের করা হলে কয়েকজন দুর্বৃত্তরা এসে অফিসের স্টাফদের মেরে ও লাঞ্ছিত করে দরপত্র ছিনতাই করে। এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র লেখার কাজ চলছে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানতে পেরেছি তারা অভিযোগপত্র লিখছেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।