হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার দুপুরে শহরতলীর জালালাবাদে নদীর বাঁধে হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়। ফলে প্রবল বেগে নদীর পানি জালালাবাদসহ আশপাশের এলাকায় প্রবেশ করছে। এদিকে সকাল থেকেই খোয়াই, কুশিয়ারা, কালনী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, দুপুর ১টার দিকে খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। খুব দ্রুই পানি নিচে নেমে যাবে।
তিনি বলেন, আসলে শহরের গরুর বাজারের পরের অংশটিকে আমরা বলি ফসল রক্ষা বাঁধ। যদি বর্ষা মৌসুমে এসব বাঁধ না ভাঙ্গে তবে শহর রক্ষা বাঁধের দুর্বল অংশ ভেঙ্গে পানি শহরে প্রবেশ করতে পারে। তাই শহরকে রক্ষার স্বার্থেই আসলে এসব অংশের ভাঙন দিনে পানি ছাড়তে হয়। আর তাছাড়া এখন আসলে হাওরে পানির প্রয়োজনও। নদীর পানিতো ভাটিতে হাওরে প্রবেশ করবে এটাই স্বাভাবিক। এসব ভাঙ্গন আবার ফসল রক্ষার জন্য বর্ষার পর সংস্কার করা হবে। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যে জানা গেছে, দুই দিনের টানা বর্ষন এবং উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বুধবার সকাল থেকে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে চলে যায়। সকাল ১০টায় নদীর চুনারুঘট উপজেলার বাল্লা সীমান্তে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩১ সে.মি. এবং শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে ৭৫ সে.মি.উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
‘কুশিয়ারা নদীর পানি বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী পয়েন্টে ২১ সে.মি. এবং কালনী নদীর পানি আজমিরীগঞ্জ পয়েন্টে ৩১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বেলা ১টার পর থেকে খোয়াই নদীর পানি বাল্লা পয়েন্টে কমতে শুরু করেছে।’