Logo
Logo
×

সারাদেশ

ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত রাস্তা-কালভার্ট, দুর্ভোগে ১০ হাজার বাসিন্দা

Icon

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ১০:৩০ পিএম

ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত রাস্তা-কালভার্ট, দুর্ভোগে ১০ হাজার বাসিন্দা

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি জনপদ বৃহত্তর বোবারথল গ্রামের ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট টানা ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ধসে পড়েছে এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মিত চারটি কালভার্ট। এতে এলাকাবাসী পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নালিখাই, কাঠালীগাছ ও চইলতারপুল নামক স্থানের চারটি কালভার্ট ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে। ঢলের পানিতে ভেঙেছে রাস্তা, উঠে গেছে ইটসলিং। 

এলাকার বাসিন্দারা জানান, বছরের পর বছর বোবারথলের লোকজন মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। গত শুকনো মৌসুমে এলাকাবাসীর অর্থায়নে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। এছাড়া সরকারিভাবেও কিছু জায়গা ইটসলিং হয়। যার কারণে যাতায়াতের ক্ষেত্রে লোকজনের দীর্ঘদিনের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সৃষ্ট টানা ভারি বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা ভেঙে গেছে। ধসে পড়েছে সদ্য নির্মিত চারটি কালভার্ট। উঠে গেছে রাস্তার ইটসলিং। ফলে আবারও বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা।

দুর্ভোগের কথা জানিয়ে এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাছিব জানান, রাস্তা সংস্কার হওয়ায় ছোটলেখা বাজার থেকে বোবারথল বাজারে একবস্তা চাল নিতে খরচ হতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু রাস্তা ও কালভার্ট ভাঙায় এখন ব্যয় হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। তার ওপর রাস্তার দুরাবস্থার জন্য মানুষের ব্যয় বাড়ায় সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।  

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী প্রীতম সিকদার জয় জানান, রাস্তা সংস্কার ও কালভার্টগুলো এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মিত হয়ে থাকলে দেখভাল তাদেরকেই করতে হবে। তবে এই রাস্তাটির উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে রাস্তার সঙ্গে কালভার্টগুলোও নির্মাণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম