Logo
Logo
×

সারাদেশ

ঈদের ছুটিতে রাঙামাটি পাড়ি জমাচ্ছেন পর্যটকরা

Icon

সুশীল প্রসাদ চাকমা, রাঙামাটি

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ১১:০০ পিএম

ঈদের ছুটিতে রাঙামাটি পাড়ি জমাচ্ছেন পর্যটকরা

ছবি : যুগান্তর

টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটিতে রাঙামাটি আসছেন বিপুল পর্যটক। যাচ্ছেন মেঘের রাজ্য রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকেও।

শুক্রবার থেকে রাঙামাটি পাড়ি জমাচ্ছেন অনেকে। সব মিলিয়ে এবার ঈদুল আজহা ছুটির অবকাশে রাঙামাটিতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম আশা করা যাচ্ছে।

কিন্তু আবহাওয়ার অবস্থা প্রতিকূল হলে বুকিং বাতিল হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানান পর্যটনসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

তারা জানান, ইতোমধ্যে রাঙামাটি শহরের আবাসিক হোটেল মোটেল এবং সাজেকের কটেজ ও রিসোর্টগুলোয় ৭০ শতাংশ কক্ষের অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। অনেক হোটেল মোটেলে দুয়েক দিনের ভেতর শতভাগ বুকিংয়ের সম্ভাবনা আছে। সাজেক পর্যটন এলাকায় অনেক রিসোর্টে ইতোমধ্যে শতভাগ বুকিংয়ের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ছুটির অবকাশযাপনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাঙামাটি পাড়ি জমাচ্ছেন পর্যটকরা। সরকারি পর্যটন মোটেলে ৭০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।

এছাড়া প্রচুর পর্যটক যাচ্ছেন জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকভ্যালির রুইলুই কংলাকপাহাড়েও। এদিকে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পর্যটনসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, প্রতিবছর ঈদ অবকাশে পর্যটন শহর রাঙামাটি ও সাজেক ভ্যালি ঘুরতে যান প্রচুর পর্যটক। ঘুরতে আসা এসব প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটককে আকৃষ্ট করে রাঙামাটির মনোরম ঝুলন্ত সেতু, স্বচ্ছ জলরাশি কাপ্তাই হ্রদে নৌ-ভ্রমণ, অবারিত মেঘছোঁয়া সবুজ পাহাড় আর পাহাড়ি ঝরনাধারা। ঘোরার জন্য শহরের আনাচে-কানাচে রয়েছে পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্স, জেলা পুলিশের পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো, ডিসি পার্ক, সুখী নীলগঞ্জ, বঙ্গবন্ধু মুর্যাল, রাজবন বিহার, চাকমা রাজার বাড়ি, শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতি মাজার, সুবলং ঝরনা স্পট, বড়গাঙ, লাভপয়েন্ট, বার্গীলেকসহ বহু দর্শনীয় ও উপভোগ্য স্পট, স্থাপনা ও স্থান।
জেলার কাপ্তাই উপজেলা সদরের আশেপাশে গড়ে তোলা হয়েছে অনেকগুলো মনোরম পর্যটন স্পট।

কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ায় রয়েছে ঠান্ডাছড়ি চা বাগান আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উপগ্রহ ভূকেন্দ্র। এছাড়া সৌন্দর্যের অপরূপ প্রকৃতির লীলাভূমি মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালির রুইলুইপাড়া, পাংখোয়াপাড়া ও কংলাকপাড়া পাহাড়ে রয়েছে শতাধিক কটেজ ও রিসোর্টসহ বহু বিনোদন কেন্দ্র। সাজেক পাহাড়ের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট।

এদিকে সরকারি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সসহ রাঙামাটি শহরে রয়েছে শতাধিক আবাসিক হোটেল ও ইকো রিসোর্ট। এবার ঈদের ছুটি ঘিরে ইতোমধ্যে এসব হোটেল মোটেলে ৭০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা আজকালের মধ্যে বুকিং শতভাগ হয়ে যেতে পারে বলেও আশা করছেন। সাজেকের প্রায় কটেজ ও রিসোর্টে শতভাগ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, এবার কুরবানি ঈদে রাঙামাটিতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আমরা আশা করছি। আমাদের মোটেলে ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। বুকিং ২৪ জুন পর্যন্ত রয়েছে। আজকালের মধ্যে শতভাগ বুকিংয়ের সম্ভাবনা আছে। আমাদের পুরো কমপ্লেক্স সাজানো হয়েছে। আমরা পর্যটকদের বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আছি। প্রস্তুত পর্যটকদের স্বাগত জানাতে।

রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি ঈদে পর্যটকদের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে হোটেলে রুম বুকিং দেওয়া হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে শহরের আবাসিক হোটেলগুলোয় ৭০-৭৫ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। রাঙামাটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো। প্রশাসনের সুনজর থাকলে রাঙামাটির পর্যটন শিল্প দ্রুত উন্নয়নের ধাপে এগিয়ে যাবে।

সাজেকের হাতংটং রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী অচিন্ত্য ত্রিপুরা জানান, সাজেকে প্রায় কটেজ ও রিসোর্টে শতভাগ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। বুকিং সপ্তাহব্যাপী রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম