Logo
Logo
×

সারাদেশ

সেই বন কর্মকর্তা রবিউলের বিরুদ্ধে ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে থানায় জিডি

Icon

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ১০:২৫ পিএম

সেই বন কর্মকর্তা রবিউলের বিরুদ্ধে ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে থানায় জিডি

শেরপুরে প্রায় ৯ কোটি ৩২ লাখ সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তকৃত ফরেস্টার ময়মনসিংহ বন বিভাগের বালিজুরী রেঞ্জের সেই রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে এজাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শেরপুরের শ্রীবরদী থানায় এজাহার করা হয়। 

ময়মনসিংহ বন বিভাগের পক্ষ থেকে শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া বাদী হয়ে এজাহারটি করেন। এ ব্যাপারে  শ্রীবরদী থানায় একটি জিডি হয়েছে। 

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, এজাহার পাওয়ার পর তা জিডি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপপরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত কার্যালয় জামালপুর বরাবর পাঠানো হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়- অভিযুক্ত সাময়িক বরখাস্তকৃত ফরেস্টার রবিউল ইসলাম রেঞ্জ কর্মকর্তার দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় এমনকি দায়িত্ব থেকে অপসারিত হওয়ার পরেও বিভিন্ন অর্থবছরের সৃজিত বাগানের গাছ বিক্রির বিভিন্ন লটের সরকারি টাকা কোষাগারে জমা না দিয়ে আয়কর, ভ্যাটসহ সর্বমোট  ৯ কোটি ৩১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৯৫ টাকা আত্মসাতের বিষয় আপাতত প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে ফরিদপুর বনবিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। আত্মসাতের ঘটনা তদন্তের জন্য বিভাগীয় বন কর্মকতা ময়মনসিংহ বন বিভাগ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটির প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া যায় এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, ময়মনসিংহ বন বিভাগ মহোদয়ের ৯ জুন দেওয়া নির্দেশে আদিষ্ট হয়ে এই এজাহার করতে কিছুটা বিলম্ব হলো। 

বনবিভাগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফরেস্টার রবিউল ইসলাম ২০১৬ সাল থেকে বালিজুড়ী রেঞ্জের একাধিক বিটের বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  বন কর্মকর্তা ফরেস্টার রবিউল ইসলামের বাড়ি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ এলাকায়। ওই বন কর্মকর্তা দাপটের সঙ্গে একই কর্মস্থলে ৮ বছর চাকরি করেন। এখানে যোগদানের পরপরই তিনি নানা অনিয়ন ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। চাকরি করাকালীন তিনি কাউকেই তোয়াক্কা করেননি। তার দাপটে এলাকাবাসীও মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে এলাকাবাসীর কাছ থেকে।  

এলাকাবাসী জানান, তিনি  সুফল বাগান সৃজনে অনিয়ম দুর্নীতির পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি করেছেন। বর্তমান ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ কর্মস্থলে যোগদানের পর দুর্নীতির ঘটনা বুঝতে  পেরে রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে বদলি করলে তার স্থলে বালিজুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে সুমন মিয়া যোগদান করেন; কিন্তু রবিউল ইসলাম সুমন মিয়াকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে তার বদলির নির্দেশ স্থগিত করানোর জন্য তদবিরে মেতে উঠেন। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার সদিচ্ছা ও হস্তক্ষেপের কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। অবশেষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রবিউল ইসলাম সুমন মিয়াকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। সুমন মিয়া দায়িত্ব নেওয়ার পর রবিউল ইসলামের ৯ কোটি টাকার বেশি ঘাপলার ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। 

পরে এ বিষয়ে বিভাগীয়ভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটির তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে বন বিভাগ বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে আত্মসাৎ করা সরকারি ৯ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বলা হয়। রবিউল ইসলাম টাকা জমা না দিয়ে গা-ঢাকা দেন। 
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম