ভোলায় মহাসড়কের ওপর আ. লীগ নেতার গরুর হাট
যুগান্তর প্রতিবেদন, ভোলা
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের ভোলা অংশের ইলিশা জংশন বাজারে মহাসড়কের ওপর বসানো হয়েছে কুরবানির পশুর হাট। মহাসড়কে পশুর হাট বসানো নিষেধ থাকলেও ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জংশন বাজার ইজারাদার মো. সোহরাওয়ার্দী মাস্টার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এ হাট বসিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশা ইউনিয়নের জংশন বাজারের দক্ষিণ মাথায় মহাসড়কের দুপাশ জুড়ে শত শত গরু সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা দরদাম করছেন।
এদিকে মহাসড়ক দিয়ে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর কুরবানির ঈদের আগে সদর উপজেলার ইলিশার হাট ও জংশন বাজারের গরুর হাট বসে ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের ওপর। এতে যান চলাচল বিঘিœত হয়।ভোলার চারপাশ নদীবেষ্টিত হওয়ায় ইশিলা লঞ্চঘাটটি ভোলায় প্রবেশের মূল পথ। সড়কের ওপর গরুর হাট বসানোর ফলে এ সড়কে চলাচলকারী বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
জংশন বাজারের ১০-১৫ জন অটোচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতি বছর ইলিশা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাওয়ার্দী মাস্টার ইলিশা বাজার ও জংশন বাজার ইজারা নিয়ে মহাসড়কের ওপর গরুর হাট বসান। এতে করে যানবাহন চলাচলে বিঘিœত ঘটে। বাজারের গরুর ময়লা-আবর্জনার কারণে মোটরসাইকেল চালকরাও দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। কিন্তু ইজারাদার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না। প্রশাসনও অনেকটা নীরব ভূমিকায় থাকে।
এ বিষয়ে ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাজার ইজারাদার সোহরাওয়ার্দী মাস্টার জানান, বাজারটি কাগজপত্রে তার নামে। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান মেম্বার, কাঞ্চন ভুলাই, জাকির হোসেন মঞ্জু ও রফিক মাস্টার ইজারা নিয়েছেন। তারাই এটির আয়-ব্যয় নিয়ে থাকেন। তারা ইজারার বিষয়টি বোঝেন না, তাই তিনি ইজারা নিয়ে দেন। বাজারের জায়গা না থাকায় রাস্তার পাশে হাট বসানো হয়েছে। সরকার বাজার ইজারা দেয় কিন্তু বাজার বসার কোনো জায়গা নেই।
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল জানান, সোহরাওয়ার্দী মাস্টার বাজার ইজারা নিয়েছেন। গরুর হাট একটি নির্দিষ্ট স্থানে খোলা জায়গায় বসাবে। সড়কের ওপর বসানোর কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি তার জানা ছিল না। জেনে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।