Logo
Logo
×

সারাদেশ

ঈদের আনন্দ নেই দশমিনার ১০ হাজার জেলে পরিবারে

Icon

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম

ঈদের আনন্দ নেই দশমিনার ১০ হাজার জেলে পরিবারে

গত ১৯ মে মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৩ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত। এরই মধ্যে চলে আসছে কুরবানির ঈদ। তবে এই ঈদ যেন দীর্ঘশ্বাসে রূপ নিচ্ছে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ১০ হাজার জেলে পরিবারে। 

সরকারি হিসাব বলছে এ উপজেলায় প্রায় দেড় লাখ বাসিন্দা রয়েছেন। তবে এই বিশালসংখ্যক বাসিন্দার একটি উল্লেখযোগ্য অংশের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উৎস হলো নদীতে মাছ ধরা। দীর্ঘদিন ধরে সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছে এসব জেলে পরিবার। বর্তমানে দুবেলা দু-মুঠো খেয়ে-পরে থাকার মতো অবস্থা নেই তাদের। আসন্ন কুরবানি ঈদের ছিটেফোঁটা আনন্দ নেই তাদের মনে। সন্তানদের মুখে এক টুকরো মাংস তুলে দেওয়ার সামর্থ্য নেই পরিবারগুলোর। এমনই আক্ষেপ নিয়ে দিন পার করছেন এ অঞ্চলের জেলেরা।

উপকূলের জেলে সবুর মিয়া জানান, সারাজীবন অন্যের নৌকায় মাছ ধরেছেন। ছেলেরাও ছোটবেলা থেকে জীবিকার অন্বেষণে অন্যের নৌকায় মাছ ধরছে; যা রোজগার হয় সেটাই খরচ হয়ে যায়। অবশিষ্ট কিছুই থাকে না। বেশি মাছ পড়লে একটু ভালো খাই। কম মাছ পড়লে সমস্যা বেশি হয়। সাগরে অভিযানের কারণে মাছ ধরাই বন্ধ হয়ে গেছে। তার মতো অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে বহু জেলে পরিবার। অনেক জেলে এই কুরবানির ঈদে তার সন্তানদের মুখে এক টুকরো মাংসও তুলে দিতে না পেরে মুখ লুকিয়ে কাঁদবেন। 

অন্যদিকে জেলেরা সংগঠিত নয়। জেলেদের দাবি আদায়ে তেমন রাজনৈতিক কমিটি ছাড়া কোনো সংগঠন নেই উপজেলায়। সহজ শর্তে ঋণ আর সরকারি সুবিধা নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।

উপজেলার মৎস্যজীবী নেতারা বলছেন, একশ্রেণির অ-মৎস্যজীবীর প্রভাবে প্রকৃত জেলেরা সবসময়ই নিষ্পেষিত। তাদের কারণে জেলেরা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, জেলে ও তার পরিবারের জন্য সরকারি সহায়তা বৃদ্ধি করা দরকার। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম