রায়পুরে ভয়াবহ লোডশেডিং, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক গ্রাহক

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ০৬:৩৫ পিএম

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর থেকে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বাসিন্দারা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক গ্রাহক। দিনে ১০ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে।
জানা যায়, শতভাগ বিদ্যুতায়িত লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা। এ উপজেলায় বিদ্যুৎ চাহিদা ১৭ মেগাওয়াট হলেও দেওয়া হচ্ছে ৭ মেগাওয়াট। এখানে ১ লাখ ৮ হাজার বিদ্যুত গ্রাহক রয়েছেন।
ভুক্তভোগী বাসিন্দারা বলছেন, পৌরশহরে মোটামুটি বিদ্যুৎ থাকলেও ১০টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। অপরদিকে গত ৭ মাস ধরে নতুন মিটারও তার দিচ্ছে না। ১২শ গ্রাহক লাইন সংযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন। কবে আসবে সেটা বলতে পারছেন না বিদ্যুৎ কর্মকর্তারাও।
উপজেলা পৌরশহরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর থেকে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে সরকারি হাসপাতাল, মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেণু উৎপাদন ও ঈদে মার্কেটগুলোতেও প্রভাব পড়েছে। সাধারণত সন্ধ্যার
পরই ৫টি শপিংমল ও ১০টি মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা চলে বেশি। এর মধ্যেই বিদ্যুতের আসা-যাওয়া চলছে।
এদিকে অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে পৌরসভার বিশাল জলাধারায় (ট্যাংকি) পানি উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে ৫০ হাজার মানুষ পানির ভোগান্তিতে পড়ছেন।
রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহাদাত হোসেন বলেন, রায়পুরে ১ লাখ ৮ হাজার গ্রাহক। চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তাই কখনো চার থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।