Logo
Logo
×

সারাদেশ

সেন্টমার্টিন গেল জেলা প্রশাসনের ২০০ মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম

সেন্টমার্টিন গেল জেলা প্রশাসনের ২০০ মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য

অবশেষে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার দুপুরের পর কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ওই খাদ্যপণ্য নিয়ে যাত্রা করেছে একটি জাহাজ।

জাহাজটিতে ২০০ মেট্রিক টন চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন।

একই সঙ্গে ওই জাহাজে করে ফেরার কথা রয়েছে নানা প্রয়োজনে সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার-টেকনাফে আসা দেড় শতাধিক মানুষের। নাফ নদীতে গোলাগুলির কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আটকে পড়েছিলেন তারা।

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা ১০ হাজারের মতো। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়নের মর্যাদাপ্রাপ্ত এই পর্যটন কেন্দ্রটি।

বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল করে টেকনাফ থেকে নাফ নদী দিয়ে। এই নাফ নদীর এক পাশে বাংলাদেশ, আরেক পাশে মিয়ানমার।
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘাতের মধ্যে গত কিছু দিন ধরে নাফ নদীতে চলাচলরত নৌযান লক্ষ্য করে গোলা ও গুলিবর্ষণ হচ্ছে ওপার থেকে।

সেই কারণে সাত দিন ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপবাসী যেমন খাবার সংকটে পড়েছেন, তেমনি তাদের যাওয়া-আসাও বন্ধ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত ও সেন্টমার্টিন রুটে নৌযানের ওপর মিয়ানমার থেকে তিন দফায় গুলিবর্ষণের ঘটনায়, ওই রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। যে কারণে দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দার খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় বুধবার জেলা প্রশাসনের বিশেষ সভায় বিকল্প পথে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ সিদ্ধান্তের আলোকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) বঙ্গোপসাগরের সাবরাং মুন্ডার ডেইল উপকূল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল শুরু করা হয়েছে। আর আজ খাদ্যপণ্য নিয়ে পাঠান হলো ‘এমভি বার আউলিয়া’ জাহাজটি। 

এই জাহাজে পাঠান খাদ্যপণ্য দিয়ে আগামী এক মাস দ্বীপের বাসিন্দারা চলতে পারবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে এমভি বার আউলিয়ার পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, জাহাজটি প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পর্যটন মৌসুম অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে যাতায়াত করে আসছিল। এখন দ্বীপবাসীর প্রয়োজনে জাহাজটি পাঠান হলো।

জাহাজটি শনিবার সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে কক্সবাজারে ফিরবে জানিয়ে বাহাদুর বলেন, দ্বীপের কোনো বাসিন্দা জরুরি প্রয়োজনে কক্সবাজার আসতে চাইলে, ওইদিন আসতে পারবেন। 

এছাড়া প্রশাসন যতদিন চাইবে, ততদিন জাহাজটি চলবে বলেও জানান এমভি বার আউলিয়ার পরিচালক।

এদিকে সাতদিন পর বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় বিকল্প পথে সেন্টমার্টিনে ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এলাকার সাগর উপকূলের পয়েন্ট দিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি ট্রলারে ৩ শতাধিক মানুষ টেকনাফ আসেন। একই সঙ্গে দ্বীপে গেছেন সমান সংখ্যক মানুষ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম