ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কখনো ধীরগতি, কখনো যানজট
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে সবধরনের যানবাহন চলাচলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কখনো থেমে থেমে যানজট ও কখনো ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেনের কাজ, চালকদের এলোমেলো গাড়ি চালানো ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধির ফলে ঈদের ছুটির আগেই এই অংশের কোথাও কোথাও থেমে থেমে যানজট, ধীরগতি বা কখনো কখনো যানজট হচ্ছে।
বুধবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কের এলেঙ্গা, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশন ও সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা এলাকা ঘুরে দেখা যায়- মহাসড়কের ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রায় দিনভর থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি ও যানবাহন চলাচলে ধীরগতি ছিল। পরে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু পূর্বপাড় থেকে যানজট শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে যানজট গিয়ে পৌঁছায় টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়কে। তবে-ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী পরিবহণগুলো সেতু পার হয়ে ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করায় সকাল থেকে কমতে থাকে যানজট।
রংপুর থেকে ছেড়ে আসা কুরবানি পশুবাহী ট্রাকচালক ইদ্রিস আলী বলেন, কয়েক দিন ধরে রংপুর থেকে কুরবানি পশু নিয়ে ঢাকার গাবতলী যাচ্ছি; কিন্তু সেতু পার হয়ে এলেঙ্গা সড়কে প্রতিদিনই যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে। এতে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছি না। দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে থাকতে হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, গত সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত একদিনে অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু উভয় টোল দিয়ে সেতুতে ২৮ হাজার ৪০১টি যানবাহন পারাপার করে এবং এর বিপরীতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার ২৫০ টাকা।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত গাড়ির অতিরিক্ত চাপ ও ধীরগতি ছিল। এছাড়া এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু পর্যন্ত মহাসড়কে চারলেনের কাজ ও সড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে এমন যানজট সৃষ্টি হয়। তবে দুপুরের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।