বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সিজান বাবু (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার গভীর রাতে উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের সুতনারা গ্রামের একটি মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুর বন্ধু অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আলিফকে থানায় আনা হয়েছে। অপর বন্ধু রাসেলকে পেলে হত্যার প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পুলিশ জানায়, সিজান বাবু বগুড়ার ধুনট উপজেলার চিকাশী ইউনিয়নের হটিয়ারপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় জোড়শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। দুই ভাইবোনের মধ্যে সে ছোট। বন্ধু আলিফ (১৫) হটিয়ারপাড়া গ্রামের জয়নাল মন্ডলের ছেলে এবং রাসেল (১৫) জোড়শিমুল গ্রামের ভুট্টু মিয়ার ছেলে। এরা দুজন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
সিজান রোববার রাত ৮টার দিকে বন্ধু আলিফের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তারা অপর বন্ধু রাসেলের কাছে যায়। পরে তিন বন্ধু পার্শ্ববর্তী উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের সুতনারা গ্রামের একটি পাথারে (মাঠ) যায়। এ সময় আগের কোনো বিরোধ নিয়ে রাসেলের সঙ্গে সিজানের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে রাসেল ছুরি বের করে সিজানের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই সিজানের মৃত্যু হয়। রাসেল এরপর আলিফের ওপর হামলা চালালে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আলিফ বাড়ি ফিরে ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানায়। আলিফের স্বজনরা নিহত সিজানের পরিবার ও পুলিশকে অবহিত করে। সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিজান বাবুর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান রাসেল বলেন, তিন স্কুলবন্ধু রোববার রাতে তার ইউনিয়নের সুতনারা গ্রামের মাঠে এসেছিল। সেখানে সিজান নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একজন পলাতক রয়েছে; অন্যজন বাড়িতে গিয়ে হত্যার ঘটনা প্রকাশ করেছে।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, নিহত সিজান বাবু, আলিফ ও রাসেল বন্ধু। তারা এক সঙ্গে চলাফেরা করত। তাৎক্ষণিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা সম্ভব হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বন্ধু আলিফকে থানা নেওয়া হয়েছে। অপর বন্ধু রাসেলকে ধরতে পারলে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যাবে। সিজান বাবুর লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।