বিয়ের দাবিতে কাশিয়ানীতে প্রেমিকের বাড়িতে দুদিন ধরে অনশন করছেন মেরিনা আক্তার (২৪) নামে এক নারী। 

তিনি উপজেলার পুইশুর ইউনিয়নের দেবাশুর গ্রামের মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন। তার একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।

শনিবার থেকে উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামে প্রেমিক আরাফাত মোল্যার বাড়িতে এ অনশন শুরু করেছেন তিনি। আরাফাত একই গ্রামের জুলফিকার মোল্যার ছেলে। এ ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত আরাফাত। 

এ দিকে বিয়ের দাবি না মানলে প্রেমিকের বাড়িতে আমরণ অনশন করার ঘোষণা দিয়েছেন ওই নারী। 

জানা গেছে, ৬ মাস আগে চাকরির জন্য ওই নারী গোপালগঞ্জ শহরে গিয়েছিলেন। বাসে করে বাড়িতে ফেরার সময় পরিচয় এক সন্তানের জনক আরাফাত মোল্যার সঙ্গে। এরপর থেকে তাদের দু’জনের মোবাইল ফোনে কথা হয়। গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান তারা। একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। এক সময় বিয়ের জন্য ওই নারী আরাফাতকে চাপ দিলে নানা তালবাহানা করেন। এক পর্যায়ে বন্ধ করে দেন সব ধরনের যোগাযোগ।  ওই নারী আরাফাতের খোঁজে ছুটে আসেন তার বাড়িতে। এসে জানতে পারেন- এর আগেও একাধিকবার একই ঘটনা ঘটিয়েছেন আরাফাত। এমনকি তার স্ত্রী-সন্তানও রয়েছে। নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী। দুদিন ধরে ওই নারী অবস্থান করলেও মেলেনি কোনো আশ্বাস।  এদিকে ওই প্রেমিকা আসার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন আরাফাত। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন ওই নারী। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ওই নারী অভিযোগ দিলে তাকে আইনি সহায়তা করা হবে।’