চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় গিয়ে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহের অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজন ও নেতাকর্মীরা। হত্যার ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এদিকে ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাসায় ফেরেন আনারকন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। শুক্রবার দুপুরে শহরের ভূষণ স্কুল সড়কে নিজ বাসভবনের নিচে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন খান, সহ-সভাপতি শামীম আরা মান্নান, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলমসহ অন্যরা। 

এ সময় তিনি তার বাবার হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করেন। ডরিন বলেন, আমি ভারতের ভিসা পেয়েছি। তবে ডিবি অফিস থেকে আমাকে বলেছে, যখন প্রয়োজন হবে তখন ভারতে যেতে হবে।

এমপি আনারকন্যা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাকে ফোন দিয়েছেন। তিনি আমাকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। তিনি বলছেন আমি তোমার সঙ্গে আছি। তুমি আমাকে বলেছ তোমার বাবাকে খুঁজে দিতে, আমি ইন্ডিয়ান পুলিশকে দিয়ে তোমার বাবাকে খুঁজে দিয়েছি। আর কী চাও আমাকে বলো। এখন পুলিশ তদন্ত করবে রিপোর্ট আসলে আমি ব্যবস্থা নেব। আর কিছু করতে হলে আমাকে জানাও। আমি তখন বলেছি, না আপা আপনি যা ভালো মনে করেন করবেন। আপনি বিচক্ষণ, আপনিই এর বিচার করবেন। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা আছে। প্রধানমন্ত্রী তার বাবা হত্যার বিচার করেছেন তাহলে আমার বাবা হত্যারও বিচার তিনি অবশ্যই করবেন। জীবিত থাকতে বুঝিনি বাবা কতটা জনপ্রিয় ছিল। বাবা হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে দেখেছি বাবাকে মানুষ কতটা ভালোবাসে। যেখানে গেছি সবার ভালোবাসা পেয়েছি, সেটা একমাত্র বাবার কারণে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুযোগ পেলে অবশ্যই রাজনীতি করব; তবে সেটা নিয়ে এখন ভাবছি না। 

এদিকে এমপি আনার হত্যায় উপজেলার প্রতিটি মসজিদে মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।