নির্বাচিত হয়েই মালা নিয়ে ছুটে গেলেন প্রতিদ্বন্দ্বীর বাড়িতে
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. ইমতিয়াজ আরাফাত। নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু।
ইমতিয়াজ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহানের ছেলে এবং লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রামগঞ্জ পৌরসভার দেওয়ানবাড়িতে গিয়ে ইমতিয়াজ তার প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুকে মিষ্টি খাওয়ান। একই সঙ্গে তারা একে অপরের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে বিজয় উদযাপন করেন। এ সময় ইমতিয়াজ উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায় বাচ্চুর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মঙ্গলবার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আনারস প্রতীকে ইমতিয়াজ ও মোটরসাইকেল প্রতীকে দেওয়ান বাচ্চু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা ছাড়া আরও দুজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে দেওয়ান বাচ্চুর পক্ষে প্রথম থেকেই লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান কাজ করেন। একক প্রার্থী দিতে অন্যদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করেন। জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের মোবাইফোন-হোয়াটসঅ্যাপে কল করে ভোট চেয়েছেন। টিআর ও কাবিখা প্রকল্পে লোভ দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এসব বিষয়ে একাধিক লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে রিটার্নিং কর্মকর্তা এমপি আনোয়ার খানকে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ না নিতে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন। এর পরও তিনি প্রচারণায় অংশ নেন।
অবশেষে নির্বাচনের দিন ৪৪ হাজার ৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে ইমতিয়াজ আরাফাত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেওয়ান বাচ্চু পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬০৯ ভোট।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আরাফাত সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবার সততা আর একনিষ্ঠতা ও রামগঞ্জবাসীর ভালোবাসার কারণেই এ বিজয়। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। রামগঞ্জকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ কাজ করব। উন্নয়নের মাধ্যমে রামগঞ্জবাসীর ঋণ পরিশোধের চেষ্টা করব।
তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু।