নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
বিএনপি নেতায় ধরাশায়ী আ.লীগের ৫ প্রভাবশালী
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৪:১১ এএম
নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী পাঁচ নেতা নাকানি-চুবানি খেয়েছেন। তারা ধরাশায়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফুর কাছে।
অতীতে আওয়ামী লীগের এমন ভরাডুবি আর কখনো হয়নি। এ নিয়ে উপজেলাব্যাপী চলছে নানা চুলচেরা বিশ্লেষণ। এমন ভরাডুবির পেছনে কারণ হিসাবে কেউ মনে করছেন দলীয় কোন্দল, আবার কেউ বলছেন আঞ্চলিকতা এবং দলীয় ভোট ভাগাভাগির কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।
আর আওয়ামী লীগ শিবিরের বাইরে বিএনপির বহিষ্কৃত সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফুই ছিলেন একমাত্র প্রার্থী। তাই তার ভোটে ভাগের প্রভাব পড়েনি। ফলে অনেকটা সহজেই জয় পেয়ে যান তিনি। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মনে করেন যদি তাদের দলের একক প্রার্থী হতেন তাহলে বিএনপি প্রার্থী তাদের সঙ্গে পাত্তাই পেতেন না। এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন আহমদ বলেন, নবীগঞ্জে দলের একাধিক প্রার্থী থাকার কারণেই মূলত আমাদের বিজয় হয়নি। কারণ আমাদের ভোট কয়েক ভাগে ভাগ হয়েছে। তবে একক বা দুজন প্রার্থীও যদি নির্বাচনে অংশ নিতেন তাহলে আমাদের বিজয় শতভাগ নিশ্চিত ছিল।
সেটি প্রমাণ হয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে। এখানে আমাদের দলের প্রার্থী সংখ্যা কম ছিল তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপির মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু চিংড়ি মাছ প্রতীকে ২৫ হাজার ১৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম।
তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৭৫১ ভোট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৫৬৩ ভোট, জেলা আওয়ামী লীগের অপর সাংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৪২ ভোট, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৪৭ ভোট ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৩৭৬ ভোট।