নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় শিখা আক্তার (৩৬) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের একপর্যায়ে চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ননদ রেশমা আক্তার ও তার স্বামী নয়ন মিয়াসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ওই ভুক্তভোগীর স্বামী মো. ফজলুল হক বাদী হয়ে রেশমা ও নয়নসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে কলমাকান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের কুতিগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শিখা আক্তারের স্বামী ফজলুল হক স্থানীয় বাজারে যান। শিখা আক্তার ঘরের দরজা লাগিয়ে নামাজ পড়ছিলেন। কিছুসময় পর দরজাটি খুলে দেওয়ার জন্য দরজায় ধাক্কা দেন ননদ রেশমা ও রেশমার স্বামী নয়ন মিয়া। দরজাটি খুলে দিতেই গৃহবধূ শিখার দুই হাত চেপে ধরে নির্যাতন শুরু করেন ননদ রেশমা, নয়ন, কাজল মিয়াসহ কয়েকজন। নির্যাতনের একপর্যায়ে তার মাথার চুল কেটে দেন।

পরে চলে যাওয়ার সময় হুমকি দেন বিষয়টি কাউকে বললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সৌরভ ঘোষ বলেন, শিখা আক্তারকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, শিখা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগে তার স্বামী মো. ফজলুল হক মঙ্গলবার দুপুরে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।