মাদ্রাসায় নিয়োগে অনিয়মের পাঁয়তারা অধ্যক্ষের
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:০০ পিএম
প্রতীকী ছবি
মঠবাড়িয়া পেৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আব্দুল ওহাব মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বেলায়েতের বিরুদ্ধে ৫টি বিভিন্ন শূন্য পদে ৫০ লক্ষাধিক টাকা উত্কোচের বিনিময় নিয়োগ পাঁয়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাদ্রাসা সংলগ্ন বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ (আবু মাস্টার), মাদ্রাসার ডিজি, মহাপরিচালক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সনে আলিম স্তরে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম ধাপে ৬ প্রভাষক পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও দ্বিতীয় ধাপে (বর্তমানে) ৫টি শূন্য পদে এ পর্যন্ত ৫ বার পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। অধ্যক্ষের পছন্দের লোকের আবেদন না থাকায় বিষয়টি এখন পর্যন্ত অমীমাংসিত রয়েছে। প্রকৃত মেধাবী প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। তার অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ কমিটির কিছু সদস্য তদন্ত করলে একাধিকবার তার অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। রহস্যজনক কারণে সব তদন্তকারী সংস্থা এক সময় মাঝপথে হাত গুটিয়ে নেয়।
বিদ্যোত্সাহী রুম্মান মলি্লক জানান, অধ্যক্ষ মাওলানা বেলায়েত হোসেন প্রতিনিয়ত দুর্নীতি করে আসছেন, যা মঠবাড়িয়ার অধিকাংশ মানুষ অবগত। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে তার মেয়েসহ ৫টি নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের পাঁয়তারার চাহিদা মাফিক অর্থ হাতিয়ে নিয়ে রিটেন, ভাইবা ছাড়া মূলত অযোগ্যদের নিয়োগের চষ্টো করছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমার কাছে অধ্যক্ষ বেলায়েতের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ এসেছে। বিষয়টির সত্যতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিজির প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জানান, শূন্য পদে ৫ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ অধিদপ্তরে এসেছে। সঠিক তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
মাওলানা বেলায়েত হোসেন বলেন, নিয়োগ বোর্ডের সব নিয়মকানুন মান্য করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। যার কোনোটির সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই।