Logo
Logo
×

সারাদেশ

‘কোটি কোটি টাকা না, মাত্র ৩০-৪০ লাখ টাকা’, সোর্সদের নৌপুলিশ ইনচার্জ 

Icon

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৮:১১ পিএম

‘কোটি কোটি টাকা না, মাত্র ৩০-৪০ লাখ টাকা’, সোর্সদের নৌপুলিশ ইনচার্জ 

ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরে ইলিশ অভয়াশ্রমকালীন মাছধরার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অর্থের বিনিময়ে মাছ ধরতে জেলেদের সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে।  

তিনি হাইমচরের নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে রয়েছেন। 

জেলেদের থেকে পাওয়া টাকা সঙ্গীয় ফোর্স ও সোর্সদের সঙ্গে ভাগ-বাটোয়ারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ভগিনীপতির মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দেওয়াই কাল হলো ইউনুসের

সেই ভিডিওতে দেখা যায়, নিজ কার্যালয়ের চেয়ারে বসে সোর্সদের সঙ্গে রফাদফা করেন জাহাঙ্গীর হোসেন। তর্কের একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর তার সোর্সদের বলেন, এখানে তো কোটি কোটি টাকা না, মাত্র ৩০-৪০ লাখ টাকা। 

সোর্সরা বলেন, দুই মাসের চাঁদার টাকা যদি এক মাসেই নিয়ে নেন তাহলে কেমনে কী?

জবাবে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কোটি কোটি টাকা না। সুলতান মেম্বারের সেখানে ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও ওই টাকাটা আমাকে দেয় নাই। হয়তো দেবে। 
সামনে থাকা সোর্সরা তখন বলেন, টাকা তো শিউর না, শিউর করে দিলে হতো। উত্তরে জাহাঙ্গীর বলেন, সোর্সদের টাকা আমি দিতে পারব না এবং আমি দিবও না।

সোর্সরা বলেন, দুই মাসের প্যাকেজে নৌকাপ্রতি ৩০-৪০ হাজার করে টাকা যারা অগ্রিম দিয়েছে তাদের কি পুনরায় ধরতে পারব? এখন যদি পুরোটাই আপনি নিয়া যান আমরা কী করে ধরব?

উত্তরে জাহাঙ্গীর বলেন, আচ্ছা শোনেন আপনারা সব টাকা নিয়ে নেন। আর আমি যে কয় ক্যাম্প নিছি সব টাকা প্রয়োজনে সমান ভাগ করে নেন। বাকি এক মাসের যে টাকা আছে তা আপনারা নিয়ে নেন। আমার কোনো কন্টাক্ট নাই। আপনারা যা পাবেন নিয়ে নেন। ১ লাখ ৩০ হাজার উচ্চারণ করে, আমার কোনো কন্টাক্ট নাই, আপনারা যা পাবেন নিয়ে যান। আমি এই ৪৫ হাজার টাকা আমার থেকে দিয়ে দিব ঠিক আছে? আর আপনারা যেভাবে পারেন টাকা আদায় করে নিয়ে নেন। এ বিষয়ে আমার কোনো কন্টাক্ট নাই।

এদিকে ভাইরাল ভিডিওর বিষয়ে নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আমি অসুস্থ, ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি আছি। আমার কোনো ভিডিও আমি দেখিনি ও জানি না। আমি হাসপাতাল থেকে এসে কথা বলব।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৪ জুন নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়িতে ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন জাহাঙ্গীর হোসেন। এর মধ্যে এই ভিডিও সামনে চলে আসায় তার অবৈধ পন্থায় টাকা আয়ের বিষয়টি সবার নজরে চলে আসে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম