টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে পুলিশকে পিটিয়ে কনক নামের এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছেন স্বজনরা। পুলিশের আটক থেকে এ সময় হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়েছে ওই আসামি।

শনিবার দুপুরে ধনবাড়ীর বানিয়াজান ইউনিয়নের পঞ্চাশী গ্রামের গাজীবাড়ি এলাকায় এক নারীর জানাজার পর ঘটেছে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা। 
ছিনিয়ে নেওয়ার পর হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া আসামি কাকন পঞ্চাশী গ্রামের হাসন আলীর ছেলে। সে সম্প্রতি পাশের এলাকায় একজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার পলাতক ছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। 

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত রমজানের শুরুতে কথা কাটাকাটির জেরে পাশের বাজিতপুর গ্রামের সৈয়দ আলী মন্ডলের ছেলে মিজানুর রহমান নামের এক যুবককে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করার মামলার পলাতক ছিল কাকন। এলাকার চিহ্নিত কাকনকে পুলিশ আটক করার নানা চেষ্টা করে যাচ্ছিল। 

কাকনের এক চাচা শাহজাহানের (মুক্তি শাহজাহান) স্ত্রী শুক্রবার রাতে মারা যান। শনিবার দুপুর ১২টার সময়  জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থনে দাফন করার ব্যবস্থা হয়। পলাতক অবস্থা থেকে চাচির জানাজায় অংশ নিতে কাকন বাড়িতে আসার খবরে ধনবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিক হোসেন তিন সঙ্গী নিয়ে সিভিলে গাজীবাড়ি যান।

জানাজা শেষে হঠাৎ তাকে আটক করে পুলিশ এক হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ফেলে। এমন সময় কাকনের শোকাহত স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। স্বজন নারী পুরুষের সমানতালে আক্রমণে অভিযানিক পুলিশ দলের সদস্যরা আঘাত প্রাপ্ত হয়। আক্রমণ চলাকালে হ্যান্ডকাপ নিয়ে কাকন পালিয়ে যায়। 

এসআই সিদ্দিকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, একটু সমস্যা হয়েছিল। সমাধান হয়েছে।

ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান একটি মারামারি মামলার আসামিকে আটক করার পর ছুটে দৌড়ে পালিয়েছে উল্লেখ করে আসামিকে পুনরায় আটক করা না গেলেও হ্যান্ডকাপ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন।