
প্রিন্ট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
নেত্রকোনার নাবিক রুকন উদ্দিনের বাড়িতে ঈদের আমেজ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১২:৪৪ এএম

আরও পড়ুন
সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে জীবন ফিরে পাওয়া নেত্রকোনার নাবিক রুকন উদ্দীন বাড়ি ফিরেছেন। বৃস্পতিবার রাতে জেলার সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের বাঘরোয়া গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেন তিনি।
তাকে একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় জমান বন্ধুবান্ধব ও স্বজনেরা। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার রুকন উদ্দিনকে ফিরে পেয়ে বাড়িতে যেন বইছে ঈদের আমেজ।
এর আগে ১৪ মে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। পরবর্তীতে কোম্পানির সব নিয়মনীতি মেনে বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন রুকন।
বাঘরোয়া গ্রামের কৃষক মিরাজ আলী ও লুৎফুর নাহারের ৫ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ তিনি। ভাইদের মধ্যে তৃতীয়। রুকনের মা, বাবা, ভাই, ভাবি, ভাতিজা সবাই আনন্দে আত্মহারা। প্রত্যেকে সন্ধ্যার আগে থেকে পথ চেয়ে বসে ছিল কখন রুকন বাড়িতে ফিরবে। রাতে বাড়িতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের চোখ দিয়ে আনন্দাশ্রু ঝরতে থাকে, সে সময় এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়।
দীর্ঘদিন পর মা লুৎফুর নাহার ছেলেকে পেয়ে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে শুরু করেন। অন্যদিকে বাবা মিরাজ আলী ছেলের চেহারার দিকে নির্বাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকেন।
ছেলের দেখা পেয়ে রুকনের মা লুৎফুর নাহার বলেন, আজকে আমার আনন্দের শেষ নেই। আমি আল্লাহর কাছে কত দোয়া পড়েছি, আমার মানিক চাঁনকে ফিরে পেতে। আল্লাহ আমার কথা শুনেছে। আমার ছেলে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
রুকনের বাবা বলেন, ঈদের দিন আমার বাড়িতে কোনো আনন্দ ছিল না, কোনো নাওয়া খাওয়া ছিল না। আজকে আমার বাড়িতে ঈদের আনন্দ ফিরে এসেছে। আমরা সবাই আজকে ঈদের আনন্দ করছি।
এইদিকে রুকনের আসার খরব শুনে একদল বন্ধুবান্ধব ফুল নিয়ে দেখা করতে আসে এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। যা দেখে মনে হচ্ছে পুরো গ্রামেই ঈদের আনন্দ ছড়িয়েছে পড়েছে।
উল্লেখ্য, ১২ মার্চ সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিকের একজন ছিল নেত্রকোনার রুকন উদ্দিন।